আজ সকালে একজন শিক্ষার্থীকে মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
জানা যায় উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরকমন্ডপ এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীধ, র্ষণের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে শতাধিক এলাকাবাসী গোরকমন্ডল স্কুলে গিয়ে সহকারী শিক্ষক মোতালেব মিয়া ও মকবুল হোসেনের বদলির দাবি জানান।
গোরকমন্ডল এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গোরকমন্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোতালেব মিয়ার সাথে বালারহাট ডি এস দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠেছে।
এক পর্যায়ে ওই মাদ্রাসা শিক্ষর্থীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার উভয়ের মধ্যে শারীরিক মিলনে জড়িয়ে যান। তাদের প্রেমের সর্ম্পক গোপন থাকলেও ক্রমান্বয় ছড়িয়ে পড়ায় বিয়ের চাপ দেন ওই শিক্ষার্থী।
উপায়ন্তর না পেয়ে ওই শিক্ষকের লোকজন বুধবার রাতে মেয়ের বাড়িতে সালিশি বৈঠকে সমাধানের চেষ্টা চালান। পরে বৈঠকে সমাধানের চেষ্টা ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীর বাবা বৃহস্পতিবার রাতে বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় নারী-শি’শু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন থানায়।
ওই এলাকার সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পারভীন বেগম সাংবাদিকদের জানান-মেয়েটিকে ধর্ষণ করায় তার বাবা ফুলবাড়ী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে এবং মেয়েটি যেন সঠিক বিচার পায়। সেই সাথে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বাদী জানান।
প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী জানিয়েছেন, এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে সহকারী শিক্ষক মোতালেব মিয়া অসুস্থ থাকায় তিনি ২৪ তারিখ থেকে ছুটি নিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামান জানান, বিষয়টি শুনেছেন। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফুলবাড়ী থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মেয়েটিকে মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।