গতকাল শনিবার ২৩ জুলাই পর্যন্ত ওই নবদম্পতিকে এক নজর দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভিড় করে। অসম এই বিয়ের পাত্রী ২ সন্তানের জননী হাসানপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের মেয়ে দুই সন্তানের জননী মৌসুমী আক্তার (২৩)। আর পাত্র রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পাওটানা হাট গিরগিরি গ্রামের ফারুক মন্ডলের ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র সোহেল (১৫)।
জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বাবার বাড়িতে ছিলেন মৌসুমী। ফেসবুকের মাধ্যমে সোহেলের সঙ্গে পরিচয় হয় তার।
মৌসুমী নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে সোহেলের সাথে প্রে’ম করে। প্রেমের টানে গত বৃহস্পতিবার প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মৌসুমীকে দেখতে আসে সোহেল। দেখাদেখি শেষে সোহেলকে নিয়ে স্থানীয় কাজী বাড়িতে যায় মৌসুমী।
সেখানে মৌসুমি তার পূর্বের স্বামীকে ডির্ভোস দিয়ে নতুন প্রেেমিক সোহেলের সঙ্গে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করে। ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে বাড়িতে নিয়ে আসলে সোহেল জানতে পারে তার প্রেমিকার ২টি সন্তান আছে। এমন প্রতারণা বুঝে কেটে পড়ার চেষ্টা করে সোহেল। কিন্তু এলাকার কতিপয় যুবক তাদেরকে পাকড়াও করেন।
সোহেলকে আটকে রেখে এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তাদের স্থানীয় মৌলভী দ্বারা বিয়ে পড়ানো হয়। ধাপেরহাট ইউপি সদস্য একরামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাদের বিয়ে হয়েছে সেটি লোকমুখে শুনেছি। তবে সালিশ বৈঠকে আমাকে ডাকা হয়নি। তাই এ বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারবো না।