স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় হাজীগঞ্জের বেসরকারি (প্রাইভেট) ৫টি হাসপাতাল ও ডায়াগণষ্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মাওলা নঈম।
গত বৃহস্পতিবার সকালে তিনি হাজীগঞ্জ বাজারস্থ হাজীগঞ্জ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ডায়াবেটিস সেন্টার, মুন হসপিটাল, সেন্ট্রাল হসপিটাল, ভিআইপি হসপিটাল ও আরিয়ানা হসপিটাল পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল হাসপাতাল, ডায়াগণষ্টিক সেন্টার ও কিনিক পরিদর্শন করা হবে। এর আগে গত বুধবার (২৫ মে) অধিদপ্তরের অনুষ্ঠিত এক সভায় আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অনিবন্ধিত হাসপাতাল, কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এবং সিদ্ধান্ত দেশের সকল সিভিল সার্জনকে জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপর হাজীগঞ্জে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মুন হাসাতাল এবং হাজীগঞ্জ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ডায়াবেটিস সেন্টারের লাইসেন্স নেই। সেন্ট্রাল হসপিটাল ও আরিয়ানা হসপিটালের কাগজপত্রের ত্রুটি রয়েছে এবং ভিআইপি হাসপাতালের নার্সদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ ও অপারেশন থিয়েটারের বিভিন্ন ত্রুটি পাওয়া গেছে।
এছাড়া সবগুলো হাসপাতালের সাথে থাকা ফার্মেসী পরিচালনায় নেই লাইসেন্স। এ সময় আরো জানা গেছে, উপজেলায় ১৭টি হাসপাতাল ও ১৬টি ডায়াগণষ্টিক সেন্টারসহ মোট ৩৩ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবগুলো প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাবেন হাজীঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগের এই কর্মকর্তাবৃন্দ।
হাসপাতাল পরিদর্শনকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল করিম, ডা. মো. ওমর ফারুক, উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক মো. শামসুল ইসলাম রমিজসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।