শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার। সনাতনীদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকলকে একত্রিত হতে হবে ছাগলনাইয়া সেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

ধানের দাম কম পাওয়ায় হতাশ কৃষকরা-দৈনিক বাংলার অধিকার

কমল পাটোয়ারী বাচ্চু, মিরসরাই প্রতিনিধি / ২৩৫ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বুধবার, ১৮ মে, ২০২২, ২:৩০ অপরাহ্ণ

মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ সাপ্তাহিক বাজারে ধান বিক্রি করতে আসেন কৃষক।সড়কের দুই পাশে সারি সারি ধানের বস্তা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কৃষকরা।তবে গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে প্রতি মণ ধান ৪০ থেকে ৭০ টাকা কমে আড়িতে বিক্রি হচ্ছে। চলতি ইরি মৌসুমে ধানের দাম না পাওয়ায় হতাশ মিরসরাইয়ের কৃষকেরা। মাত্র ২২০ থেকে ২৬০ টাকা আড়িতে ধান কিনছেন পাইকাররা। কৃষকদের দাবি, এই দামে ধান বিক্রি করে তাঁদের খরচই উঠছে না।
অন্যদিকে, ইরি মৌসুম প্রায় শেষ হওয়ার পথে থাকলেও সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ শুরু হয়নি, যে কারণে সরকার ১ হাজার ৮০ টাকা দরে ধান কিনলেও বিক্রি করতে পারছেন না চাষিরা। এ ছাড়া সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতেও পোহাতে হচ্ছে নানা ঝক্কি-ঝামেলা।কৃষকেরা জানান, ধান লাগানো থেকে শুরু করে সার-ওষুধ-কীটনাশক বা কাটা পর্যন্ত প্রতি গন্ডায় ( ৪ শতকে ১ গন্ডা ) কৃষকের খরচ হয়েছে ২- ৩ হাজার টাকা। ধান উৎপাদন হয়েছে ৮-১০ আড়ি। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা আড়িতে। সেই হিসাবে প্রতি গন্ডায় কৃষককে লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের শ্রম তো রয়েছেই। ধানের দামের এমন অবস্থায় দিশেহারা মিরসরাইয়ের চাষিরা।গোপালপুর গ্রামের কৃষক শরিফ বলেন, ‘আমি প্রায় ২০ গন্ডা জমিতে ইরি ধান করেছি। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ ধান ২২ ০ এবং ২৮ ধান ২৬০ টাকা আড়ি। অথচ প্রতি আড়ি ধান উৎপাদনে আমাদের খরচই আছে ২৮০-৩০০ টাকার ওপরে। অন্য বছর সরকার ধান কিনত, কিন্তু এ বছর সরকার থেকে কোনো সাড়াশব্দ নেই। আবার সরকারের কাছে ধান বিক্রি করেও লাভ নেই। কারণ সরকারকে ধান একেবারে ভালো করে শুকিয়ে গুদামে নিয়ে দিতে হয় এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। তেতৈয়া গ্রামের কৃষক জাহির বলেন, ‘ধান চাষ করি আমরা লাভের আশায়। কিন্তু সারা বছর পরিশ্রম করেও কোনো লাভ নেই। দুনিয়ার সবকিছুর দাম বাড়ে, কিন্তু ধানের দাম বাড়ে না। সরকারের কাছে আমরা ধান বেচতে পারি না। আমরা ধান নিয়া গেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে ফিরিয়ে দেন। আরেক কৃষক বলেন,এভাবে ধানের দাম থাকলে আমাদের ক্ষতি হয়ে যাবে। সারের দাম বেশি, সবৎকিছুর দাম বেশি সেই হিসেবে বাজারে দাম কম।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!