|| ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
ধানের দাম কম পাওয়ায় হতাশ কৃষকরা-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ১৮ মে, ২০২২
মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ সাপ্তাহিক বাজারে ধান বিক্রি করতে আসেন কৃষক।সড়কের দুই পাশে সারি সারি ধানের বস্তা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কৃষকরা।তবে গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে প্রতি মণ ধান ৪০ থেকে ৭০ টাকা কমে আড়িতে বিক্রি হচ্ছে। চলতি ইরি মৌসুমে ধানের দাম না পাওয়ায় হতাশ মিরসরাইয়ের কৃষকেরা। মাত্র ২২০ থেকে ২৬০ টাকা আড়িতে ধান কিনছেন পাইকাররা। কৃষকদের দাবি, এই দামে ধান বিক্রি করে তাঁদের খরচই উঠছে না।
অন্যদিকে, ইরি মৌসুম প্রায় শেষ হওয়ার পথে থাকলেও সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ শুরু হয়নি, যে কারণে সরকার ১ হাজার ৮০ টাকা দরে ধান কিনলেও বিক্রি করতে পারছেন না চাষিরা। এ ছাড়া সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতেও পোহাতে হচ্ছে নানা ঝক্কি-ঝামেলা।কৃষকেরা জানান, ধান লাগানো থেকে শুরু করে সার-ওষুধ-কীটনাশক বা কাটা পর্যন্ত প্রতি গন্ডায় ( ৪ শতকে ১ গন্ডা ) কৃষকের খরচ হয়েছে ২- ৩ হাজার টাকা। ধান উৎপাদন হয়েছে ৮-১০ আড়ি। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা আড়িতে। সেই হিসাবে প্রতি গন্ডায় কৃষককে লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের শ্রম তো রয়েছেই। ধানের দামের এমন অবস্থায় দিশেহারা মিরসরাইয়ের চাষিরা।গোপালপুর গ্রামের কৃষক শরিফ বলেন, ‘আমি প্রায় ২০ গন্ডা জমিতে ইরি ধান করেছি। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ ধান ২২ ০ এবং ২৮ ধান ২৬০ টাকা আড়ি। অথচ প্রতি আড়ি ধান উৎপাদনে আমাদের খরচই আছে ২৮০-৩০০ টাকার ওপরে। অন্য বছর সরকার ধান কিনত, কিন্তু এ বছর সরকার থেকে কোনো সাড়াশব্দ নেই। আবার সরকারের কাছে ধান বিক্রি করেও লাভ নেই। কারণ সরকারকে ধান একেবারে ভালো করে শুকিয়ে গুদামে নিয়ে দিতে হয় এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। তেতৈয়া গ্রামের কৃষক জাহির বলেন, ‘ধান চাষ করি আমরা লাভের আশায়। কিন্তু সারা বছর পরিশ্রম করেও কোনো লাভ নেই। দুনিয়ার সবকিছুর দাম বাড়ে, কিন্তু ধানের দাম বাড়ে না। সরকারের কাছে আমরা ধান বেচতে পারি না। আমরা ধান নিয়া গেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে ফিরিয়ে দেন। আরেক কৃষক বলেন,এভাবে ধানের দাম থাকলে আমাদের ক্ষতি হয়ে যাবে। সারের দাম বেশি, সবৎকিছুর দাম বেশি সেই হিসেবে বাজারে দাম কম।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.