কুড়িগ্রামে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল অনুষ্ঠিত হয় ২৮ নভেম্বর রবিবার । সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট বিকেল ৪ টায় শেষ হয়, ভোট গণনা ও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল আসতে থাকে এবং সম্মিলিত ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারিভাবে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ এর নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হলেও কুড়িগ্রাম সদরের অন্তর্গত যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ফলাফল আটকে যায়।
উক্ত যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর ভগবতিপুর এলাকার ঝুনকার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ফলাফল নির্বাচনের পরের দিন সোমবার দুপুর পর্যন্তও ঘোষণা করা হয়নি,
কারণ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে জানা যায়, ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের উক্ত কেন্দ্রে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, লাঠিসোটা নিয়ে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের কয়েকজন আহত হওয়ায় আইনি জটিলতায় উক্ত ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত হয়ে যায়। অবশেষে অনেক প্রতিক্ষার পর ২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ইউনিয়নের চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব আঃ গফুর নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন না পাওয়ায় বিদ্রোহী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উক্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা -৪২৩৮ টি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন মাত্র ৫২৩ ভোট।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মোঃ শাহ জালাল সরকার ৪১৮৮ ভোট পেয়েছেন।মোঃ আইয়ুব আলী সরকার চশমা প্রতিক, প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১৮২১টি, মাওলানা নুর ইসলাম মুন্সি এর নির্বাচনী প্রতীক হাতপাখা, প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১১৬৪, মোঃ সফিকুল ইসলাম এর নির্বাচনী প্রতীক ঘোড়া ,প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩১টি। মোট ৬ জন প্রার্থী উক্ত যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল।
উল্লেখ্য আলহাজ্ব আব্দুল গফুর গতবারেও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তবে সে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করায় আইয়ুব আলী সরকার ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন।