রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ষোলঘরে  জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত  শ্রীনগরে তন্তরে ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ-চায়না ক্লাব রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

স্ত্রীরা উপার্জনের দিক থেকে পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে-দৈনিক বাংলার অধিকার

মোঃ ইমান হোসেন, চাঁদপুর ব্যাুরোঃ / ৬৫ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২১, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

নতুন এক জরিপে দেখা গেছে স্ত্রীরা উপার্জনের দিক থেকে পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে আছে।অধিকাংশ নারীই উপার্জনের ক্ষেত্রে স্বামীর চেয়ে কম উপার্জন করে থাকেন।১৯৭৩ থেকে ২০১৬ সাল- এই চার দশকে বিশ্বের ৪৫ দেশে বিদ্যমান তথ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো পরিবারের ভেতরে স্বামী-স্ত্রীর মজুরিতে লিঙ্গ বৈষম্যের এই বৈশ্বিক গবেষণাটি করা হয়।

অধ্যাপক স্বামীনাথ বলেন, প্রথাগত দারিদ্রতার ক্ষেত্রে পরিবারকে একটি একক হিসেবে দেখা হয়। একটি সাধারণ চিন্তা হলো পরিবারের মধ্যে আয় এক জায়গায় করা হয় এবং সদস্যদের মধ্যে সমানভাবে তা বণ্টন করা হয়। কিন্তু পরিবারই হচ্ছে বৈষম্যের সবচেয়ে বড় জায়গা এবং আমরা সেটিই দেখাতে চেয়েছি।

এই জরিপটি বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের সেন্টার ফর পাবলিক পলিসির দুই গবেষক অধ্যাপক হেমা স্বামীনাথ ও অধ্যাপক দীপক মালগান করেছেন। তারা ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী ২.৮৫ মিলিয়ন পরিবারের স্বামী-স্ত্রী থেকে প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে এই জরিপটি করেছেন। তথ্যগুলো অলাভজনক লুক্সেমাবার্গ ইনকাম স্টাডি সংগ্রহ করেছিল।

প্রতিবেদনে পরিবারকে ‘ব্ল্যাক বক্স’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক স্বামীনাথ বলেন, আমরা ভেরতটায় চোখ রাখি না। আমরা যদি ভেতরটায় চোখ রাখতাম তাহলে ছবিটা অন্যরকমভাবে বদলে যেত।

কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের জন্য ভারত বেশ পরিচিতি। তবে সেখানে খুব বেশি নারী চাকরি করেন না এবং যারাই করেন তাদের অধিকাংশই পূণকালীন চাকরি করেন না। যদিও স্বামীনাথ ও মালগান বৈশ্বিক চিত্রটা দেখাতে চেয়েছেন। তারা বলেন, উদাহরণ হিসেবে বলা যায় নর্ডিক দেশগুলোকে লিঙ্গ সমতার বাতিঘর মনে করা হয়।কিন্তু সেখানকার অবস্থা কেমন? সেখানে বাড়িতে কি সম্পদ ও কাজকে সমভাবে বণ্টন করা হয়?

তারা বিশ্বের দেশগুলোকে সামগ্রিক ও পরিবার এই জায়গাতে বৈষম্যের ভিত্তিতে স্থান দিয়েছেন। তাদের ফল অনুসারে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব দেশের পরিবারেই বৈষম্য আছে, তা গরিব বা ধনী দেশই হোক না কেন।

মালগান বলেন, সম্পতি পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি করেন, এমন একটি দেশও পাওয়া যায়নি- (সেটা উন্নত কিংবা ধনী দেশ হোক না কেন) যেখানে স্বামীর সমান সমান আয় স্ত্রী করেন। এমনকি নর্ডিক দেশগুলো যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে কম লিঙ্গ বৈষম্য, আমরা সবখানেই দেখেছি নারীর ভাগ ৫০ শতাংশের চেয়ে কম।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০১৮ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী নারীরা মোট কর্মঘণ্টার ৭৬.২ শতাংশ বিনামূল্যে সেবা দিয়ে থাকে। যা পুরুষের তুলনায় তিনগুণেরও বেশি। আর এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশে এটি বেড়ে ৮০ শতাংশে দাঁড়ায়।

এই সবের মধ্যেও আশার কথা হলো ১৯৭৩ থেকে ২০১৬ সাল এই চার দশকে পরিবারের ভেতরের এই বৈষম্য ২০ শতাংশ কমেছে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!