১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।
আজ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস।
আজ এ দিনটি যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে তবে বতর্মান করোনা ভাইরাসের কারনে সারা বাংলাদেশের সকল মসজিদে মিলাদ ও দোয়ার মাহফিলের মাধ্যমে মোনাজাত করে তবারক বিতরণ করে শেখ করেন।
আজ থেকে ৪৬ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জাতির জনককে সপরিবারে নির্মম-নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল।
আজ রোববার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস। আজকের সূর্যোদয় হবে সেই মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে।
আজকের এ দিনে জাতীয় শোক দিবস উপলক কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণসহ উনাকে সপরিবারে হত্যার চক্রান্ত নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন সময়ের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো নিয়ে বক্তারা আলোচনা করেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতা ও যুবলীগ ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সকল অঙ্গসংগঠনের সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এবং লাকসামের সকল মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন ও তবারক বিতরণ করেন।
বাঙালির মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব, তার চেতনা অবিনশ্বর। মুজিব আদর্শে শানিত বাংলার আকাশ-বাতাস, জল-সমতল। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবহমান থাকবে ইনশাআল্লাহ।
বঈবন্দুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা , বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল সহ আরো অনেককে হত্যা করা হয়।
পৃথিবীর এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
করোনা ভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতেও জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে আগস্টের প্রথম দিন থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন
এবং লাকসামের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করেন।
এবং লাকসাম মুক্তি যোদ্ধা সংসদ অফিসের সামনে ব্ঙ্গবন্ধূর প্রতিকৃতিে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিটিং শেষ করেন।