শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
পাঁচবিবিতে নারীদের ধর্মীয় শিক্ষার আলোকবর্তিতা খাতুনে জান্নাত কওমী মাদ্রাসা শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসা জামাইকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪ সীতাকুণ্ডে ক্ষতিকর কেমিক্যালে তৈরী হতো আইসক্রিম, ২ লক্ষ টাকা জরিমানা রংপুর শ্যামাসুন্দরী খাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নকরণ কার্যক্রম শুরু কুড়িগ্রামের শেখ রাসেল অডিটোরিয়ামে বাংলার বৈশাখ, বাংলার নাচ প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ী বসতঘরে হামলা-ভাঙচুর, আহত -৩ প্রকাশ পেল ‘প্রেম শিকলে বাইন্ধা রে মন’ জাস মান্নাত এবার মিউজিক্যাল ফিল্মে তানিনের ‘ব্যাড গার্লস’ আমিরাতের সারজায় ইউনুছ গণি চৌধুরীর সমর্থনে হাটহাজারীবাসীর জনসভা আমিরাতের সারজায় ইউনুছ গণি চৌধুরীর সমর্থনে হাটহাজারীবাসীর জনসভা ২৫ দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী মেঘলার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা পাঁচবিবিতে প্রেসিডেন্ট’স্ স্কাউটস্ অ্যাওয়ার্ড প্রস্তুতি ক্লাস অনুষ্ঠিত ফরিদপুর মটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ‌ ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

বিরামপুরে বিলুপ্তির পথে বাবুই পাখির বাসা- দৈনিক বাংলার অধিকার

এস এম মাসুদ রানা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি / ১০৩ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

দিনাজপুরের বিরামপুরে কালের আবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে তালের পাতা, নারিকেলের পাতা ও সুপারির পাতায় মোড়ানো নিপুণ কারুকার্য খচিত বাবুই পাখির বাসা। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বাবুই পাখির বাসা অনেকটা বিলীন হতে চলছে। এতে বিপন্ন হচ্ছে এই শিল্পি পাখি বাবুই। আজ থেকে প্রায় ১৫-২০ বছর আগেও গ্রাম-গঞ্জের মাঠ-ঘাটের তাল গাছে দেখা যেত এদের বাসা। বাবুই পাখির বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই নয়, মানুষকে স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করতো। কবি রজনী কান্ত সেনের ভাষায়, বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুঁড়েঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই। আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকার পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি-ঝড়ে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের একর মঙ্গলপুর গ্রামে এখন আর আগের মতো চোখে পড়ে না বাবুই পাখি ও তার তৈরি দৃষ্টিনন্দন ছোট্ট বাসা তৈরির নৈসর্গিক দৃশ্য। বাবুই পাখির নিখুঁত বুননে এ বাসা টেনেও ছেঁড়া কষ্টকর। প্রতিটি তালগাছে ৫০ থেকে ৬০টি বাসা তৈরি করতে সময় লাগে ১০-১২ দিন। খড়, কুটা, তালপাতা, ঝাউ ও কাশবন ও লতা-পাতা দিয়ে বাবুই পাখি উঁচু তালগাছে বাসা বাঁধে। সেই বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি অনেক মজবুত। প্রবল ঝড়েও তাদের বাসা ভেঙে পড়ে না। পুরুষ বাবুই পাখি বাসা তৈরির পর সঙ্গী খুঁজতে যায় অন্য বাসায়। সঙ্গী পছন্দ হলে স্ত্রী বাবুইকে সাথী বানানোর জন্য পুরুষ বাবুই নিজেকে আকর্ষণীয় করতে খাল, বিল ও ডোবার পানিতে গোসল করে গাছের ডালে ডালে নেচে বেড়ায়।
চমৎকার বাসা বুনে বাস করায় এ পাখির পরিচিতি বিশ্বজোড়া। বাবুই পাখির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করতে জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে ছেড়ে দেয়। প্রজনন সময় ছাড়া অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী বাবুই পাখির গায়ে পিঠে তামাটে কালো বর্ণের দাগ হয়। নিচের দিকে কোন দাগ থাকে না। ঠোঁট পুরো মোসাকার ও লেজ চৌকা। তবে প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির রং হয় গাঢ় বাদামি। অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী বাবুই পাখির পিঠের পালকের মতই বাদামি হয়। উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের রুস্তুম আলী বলেন, আমাদের গ্রামে ছোটবেলায় দেখতাম রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা তাল গাছগুলোর মধ্যে অনেক বাবুই পাখির বাসা ছিল। কিন্তু এখন বাবুই পাখির বাসা দেখাই যায় না। বাবুই পাখির বাসা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। বিভিন্ন এলাকাজুড়ে বাবুইপাখি তালগাছেবাসা বাঁধতো কিন্তু এখন আর বেশি দেখা যায় না।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!