নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ চেষ্টা, প্রাণনাশের হুমকি ও পরপর হামলার ঘটনায় মানবেতর জীবনযাপন করছে এক হতদরিদ্র হিন্দু পরিবার।
ঘটনাটি চৌমুহনী পৌর শহরের গণিপুর গ্রামের। ওই গ্রামের মৃত. দিলিপ কুমার ঘোষের স্ত্রী ভুক্তভোগী সতী রানী এবং তার ভাই রবিন্দ্র কুমার ঘোষ দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, জাল দলিল তৈরি করে তাদেরেক বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা করছে মৃত. দিলিপ কুমারের চাচাতো ভাইয়েরা।
কয়েকদিন পরপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা করছে। তাদের রোষানলে পড়ে দীর্র্ঘদিন ধরে সতী রানী এবং রবিন্দ্র কুমার ঘোষ সপরিবারে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জানা যায়, মৃত. দিলিপের পিতা হরেন্দ্র কুমার ঘোষ দীর্ঘদিন যাবত সিএস ও বিএস খতিয়ান মূলে মালিকানায় এই সম্পত্তিতে বসবাস করে আসছে। এর মধ্যে হরেন্দ্র ঘোষের মৃত্যুর পর থেকে তার চাচা দয়াল হরী ঘোষের ছেলে উত্তম, মিঠুন ও রতন ঘোষ জাল দলিল তৈরি করে তার স্বজনদেরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের অপচেষ্টা করে আসছে দৈঘ্য দিন।
মাঝে মাঝে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে তাদেরকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
এসব ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় ভুক্তভোগীরা একাধিক মামলাও দায়ের করেছেন।
হামলা ও উচ্ছেদ চেষ্টার ঘটনার পর স্থানীয় কাউন্সিলরের (৫নং ওয়ার্ড) মাধ্যমে সালিশী বৈঠকে জাল দলিলের বিষয়টি ফাঁস হলে উত্তম গংরা শালিশ ত্যাগ করে উল্টো আদালতে গিয়ে রবিন্দ্র্র কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলা আদালতে চলমান থাকাকালেই বহিরাগত সন্ত্রাসীর মাধ্যমে পুনরায় রবিন্দ্র কুমার ঘোষকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে উত্তম ঘোষ ও শম্ভু ঘোষেরা।
এর আগেও তারা বেশ কয়েকবার হামলা করেছে রবিন্দ্রের পরিবারের উপর।
নিজ ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ ও হামলা থেকে রেহাই পেতে রবিন্দ্র্র কুমার ঘোষ বেগমগঞ্জ মডেল থানায় কয়েকটি মামলাও দায়ের করেছেন। এসব মামলা চলমান থাকলেও সম্প্রতি বহিরাগত প্রায় শতাধিক সন্ত্রাসী এনে উত্তমের নেতৃত্বে তাদের উপর পুনরায় হামলা চালানো হয়েছে বলে রবিন্দ্র কুমারের অভিযোগ করে দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান ।
প্রভাবশালী এই চক্রের রোষানল থেকে রেহাই পেতে স্থানীয় প্রশাসন এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এবিষয়ে কথা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট এর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এস ডি স্বপন এর সাথে তিনি জানান আমরা বিষয় গুলো কেন্দ্রীয় কমিটির হস্তক্ষেপ করব।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে বক্তব্য নেয়া যায়নি।