একটি টোকাইর বাচ্চার জন্য মুক্তিযোদ্ধা যুব কল্যাণ সোসাইটি হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি লিটন পাটোয়ারির ফোন।
মাএ ১১মাস বয়সী একটি শিশু বাচ্চার অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রথমে রাত ৮টায় হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরী বিভাগের ডিউটি ডাঃ অংশু পাল জানান বাচ্চাটির কোন সমস্যা নেই।
ফ্লাকল ও অমিডন সিরাপ ১০ ফোটা করে ৩ বার খাওয়াতে বলে বিদায় দেয়।
শিশুর বাবা ওই ঔষধ খাওয়ানোর পর বাচ্চার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। যথারিতি রাত ১১টায় শিশুর অবস্থার অবনতি দেখে ফের হসপিটালে নিয়ে আসে।
এবার দেখলেন উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মতি লাল কর্মকার। তিনি জানালেন শিশুর অবস্থা খারাপ। দেরি করে আনলেন কেন। অনেক বকাঝকা করে জানালেন কুমিল্লায় নিয়ে যেতে হবে।
রোগীর পরিবার তাদের সামর্থ্য নেই বলে জানান। ইতিমধ্যে আমি হসপিটালে পৌঁছে যায়। মতিলালকে সালাম জানিয়ে ভালো আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে চলে যান।
হসপিটালে আর কোন ডাক্তার না পেয়ে নাইটগার্ড ফরিদ ভাইকে জানালাম শিশুর বাবা টোকাই, অসহায়। ফরিদ ভাই বললেন কোন সমস্যা নেই। আপনি আসছেন যেখানে, সেখানে আমাদের চেস্টার কোন ত্রুটি হবে না।
তারপর যথারিথি শিশুকে ভর্তি করানো হলো। কিন্তু দুঃখের বিষয় কোন এমবিবিএস বা শিশু ডাক্তারকে ফোন দিয়েও উঠাতে পারিনি!! আর কি করা, নার্স শেফালী আপাকে নিজ পরিচয় জানিয়ে অনুরোধ করে জানালাম বাচ্চার বাবার অক্ষমতার কথা।
শেফালী আপা জানালেন মানুষের জন্য মানুষ। আমার চেস্টার কমতি হবে না। আপা ঘুম ঘুম চোখে পরম মমতায় শিশুকে বাঁচাতে চালিয়ে যাচ্ছেন যুদ্ধ…
১১ মাসের শিশু নুসরাত বাঁচবে কি?
আসুন সকলে দোয়া করি নুসরাতের সুস্থতার জন্য।
কিন্তু রাত ২টা ৩৫ মিঃ শিশু নুসরাত চলে গেলো না ফেরার আমরা এ কেমন দেশে বাঁশ করি মানবতা কোথায়।
আমরা বলছিলাম একটি অসহায় শিশুর বাবা কথা
সে ছিলো একজন টোকাই।
সংগ্রহ তথ্য /