দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে তা প্রমাণ করেছেন, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন।
তিনি দফতরটির নেত্রকোনা জেলার প্রধান তথা উপ-সহকারী পরিচালক আবু আব্দুল্লা মো. ছায়দুল্লাহকে ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতি’ দায়ে দিয়েছেন পদাবনতি।
গত মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) পদাবনতির বিষয়ে লিখিত এক আদেশ জারি করা হয়।
আদেশ অনুযায়ী আবু আব্দুল্লা মো. ছায়দুল্লাহ উপ-সহকারী পরিচালক থেকে এবার সিনিয়র স্টেশন অফিসার।
খবরটি জেলাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে বিভিন্ন ব্যবসায়প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক বটে তবে এই পদাবনতি হচ্ছে ওই কর্মকর্তার কর্মফল। মাত্র একটি প্রমাণিত হয়েছে তার দুর্নীতি। কর্তৃপক্ষ যদি নেত্রকোনার কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান করেন তবে এখান থেকেও দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে।’এলাকাবাসী জানানা বেশকিছু দিন আগেও তার বিরোধে লেখালেখি করা হয়েছে জনপ্রিয় একটি পএিকা দৈনিক বাংলার অধিকার তার পর আর কি।
উপ-সহকারী পরিচালক থেকে তাকে পদাবনতি দেয়ায় মহাপরিচালককে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি নেত্রকোনায় কর্মকান্ড নিয়ে তদন্তের দাবি জানান জেলার নানান শ্রেণি পেশার মানুষ।
এরই সাথে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একাধিক সদস্য জানান, ‘উপ-সহকারী পরিচালক ছায়দুল্লা সেবা গ্রহীতাদের সাথে শুধু দুর্নীতি করেননি। তিনি দফতরের আসবাবপত্র বা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রনিকস ডিভাইস কেনার নামে বিভিন্ন দোকানির সাথে লিয়াজু করে ভুয়া ভাউচার করে সরকারের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’
উপ-সহকারী পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মো. ছায়দুল্লা জামালপুরে ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক থাকাকালে তার বিরুদ্ধে সরকারের ৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উঠে।
ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। সেই মামলার কয়েক দফায় একাধিক কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্তের পর বারবার দোষী সাবস্ত হন তিনি। কিন্তু একপর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই অনাস্থা দেন ফায়ার সার্ভিসের অভিযুক্ত এই কর্মকর্তা।
এদিকে সদ্য প্রকাশিত আদেশে বলা হয়, তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন ও প্রমাণিত অভিযোগ বিবেচনায় গুরুতর হওয়ায় তাকে গুরুদণ্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এবং তাকে কারণ দর্শাতে আদেশ দিলে তার স্বপক্ষের জবাব সন্তোষজনক না হওয়াতে তাকে উপ-সহকারী পরিচালক থেকে করা হয় সিনিয়র স্টেশন অফিসার। অর্থাৎ পদাবনতি। এরই সাথে আত্মসাৎকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার কথা বলা হয়।