মো: মাসুদ রানা, কচুয়া: চাঁদপুরের কচুয়ায় সময়ের ব্যবধানে বেড়েই চলছে করোনা রোগীর সংখ্যা। ফলে জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ জন, তন্মেধ্যে মৃত্যু বরণ করেছে ৪ জন ও সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে ফিরেছেন ৪ জন। এছাড়া ঢাকা ও চট্রগ্রাম শহর থেকে এসে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২ জন। এরা হচ্ছেন জগতপুর গ্রামের সায়েদ আলী মিয়া ও কাপিলাবাড়ী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রব। আর এসব কচুয়ার বিভিন্ন গ্রামে করোনায় কিংবা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের জীবন বাজী রেখে দাফন কাজ সম্পন্ন করে যাচ্ছেন কচুয়া উপজেলা ইসলামি ফাউন্ডেশনের কর্মকতারা । এ নিয়ে ৩ পুলিশ, ২ নার্স-আয়া, ১ কর্মকর্তা, ১ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ১ ইউপি সচিব, ১ ঔষধ বিক্রেতাসহ ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে কচুয়া থানার এসআই মোস্তফা কামাল, কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র নার্স মজির্না বেগম ও সাচার রেঁনেসা মেডিকেল সেন্টারের আয়া তানিয়া আক্তার সুস্থ্য হয়ে কর্মস্থলে ফিরেছেন। ছেলে ও বাবা-মাসহ একই ঘরের ৩ ও মনপুরা গ্রামের হাফেজ জাকারিয়া সুমনসহ মোট ৪ জন মারা যান। সর্বশেষ গত বুধবার ডুমুরিয়া গ্রামে ফেরদৌসী আক্তার মুক্তা ও বারৈয়ারা গ্রামে ফারজানা আক্তার এর করোনা পজেটিব আসে। গতকাল বৃহস্প্রতিবার কচুয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মো. এমদাদ উল্যাহ বাড়ী লকডাউন করেন প্রশাসন এবং কোয়া গ্রামে ও বুধুন্ডা গ্রামে ২ জনের করোনা রির্পোট পজেটিব ধরা পড়ে। তাদের বাড়ী লকডাউন করা হয়। ১ জুন কচুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল হাই মুন্সি, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও এক পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হন। এর আগে কচুয়া উপজেলা যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক (ডেন্টাল) টেকনোলজিষ্ট মানিক মজুমদার সোহাগ করোনা আক্রান্ত হলে গত ২৮ মে বৃহস্পতিবার মনিক মজুমদারের বাসস্থান পৌরসভার কড়ইয়া মজুমদার বাড়ি লকডাউন করা হয়। কচুয়া সদর ইউপি সচিব বিজয় কৃঞ্চ করোনায় আক্রান্ত হলে ২৪ মার্চ তার গ্রামের বাড়ি মেঘদাইর লকডাউন করা হয়। ২৩ মে কচুয়া থানা পুলিশের এস.আই গোলাম মোস্তফার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র ঘোষিত আইসোলেশন ইউনিটে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে কচুয়ায় করোনায় আক্রান্ত দুই পুলিশ সদস্যের অন্যজন চাঁদপুর পুলিশ লাইনে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কচুয়ায় এ পর্যন্ত ১শ’৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে পজেটিভ ১৫ ,নেগেটিভ ১২৪ জন। হোমকেয়ান্টোইনে রয়েছে ১শ’৩০ জন। এদিকে কচুয়ায় যে ক’জন মানুষ করোনায় কিংবা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে তাদের দাপন কাজে সহযোগিতা করছেন, উপজেলা ইসলামি ফাউন্ডেশন। তারা জীবন বাজী রেখে মৃত ব্যক্তিদের দাপন কাজ সম্পন্ন করে যাচ্ছেন। কচুয়া: কচুয়ার বিভিন্ন গ্রামে করোনায় কিংবা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের জীবন বাজী রেখে দাফন কাজ সম্পন্ন করে যাচ্ছেন উপজেলা ইসলামি ফাউন্ডেশন।