আকাশ সরকার রাজশাহী ব্যুরোঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বার বার অন্তত ২০ সেকেন্ড সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ পরামর্শ যে রাজশাহীর অনেক মানুষই মেনে চলছেন তার প্রমান মিলছে ওয়াসার পানির হিসেবে। করোনা ঠেকাতে নগরীর বিভিন্নস্থানে রাখা হয়েছে পানি ও সাবান। এছাড়াও বাসা-বাড়িতে বসবাসকারীদের পাশাপাশি হাসপাতাল, ক্লিনিক, পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সকল সেবা সংস্থার অফিসেও করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পানির ব্যবহার বেড়েছে। রাজশাহী ওয়াসা বলছে, নগরীতে প্রতিদিন প্রায় দেড় কোটি লিটার অতিরিক্ত পানি খরচ হচ্ছে। এ বাড়তি চাপ সামলাতে হচ্ছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে। তবে এখনও পানির সংকট দেখা দেয়নি বলে দাবি সংস্থাটির।
রাজশাহী ওয়াসার তথ্য মতে, স্বাভাবিক সময়ে নগরীতে ওয়াসার পানির উৎপাদন চাহিদা থাকে সাড়ে ৯কোটি লিটার। তবে, বর্তমানে এ চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি লিটার। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন প্রায় দেড় কোটি লিটার পানির চাহিদা বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ গৃহবন্দী অবস্থায় থাকায় বারবার হাত ধোয়া, গোসল করা, কাপড় ধোয়ার পরিমাণ বেড়েছে। সেই সাথে নগরীর বিভিন্ন অফিস, রাস্তা ও দোকানে অস্থায়ীভাবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ছিটানো হচ্ছে জীবানুনাশক স্প্রে। এসব কারণে বেড়েছে পানির চাহিদা। এদিকে, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, খরা মৌসুমে পানির গতি খানিকটা কম থাকে। এরই মধ্যে পাইপ লাইনে পানির চাপ কমে গেছে।
রাজশাহী ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এস.এম তুহিনুর আলম জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের মাঝে পানির ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। বারবার হাত ধোয়া ও গোসল করার কারণে প্রায় প্রতিদিন দেড় কোটি লিটার পানির চাহিদা বেড়ে গেছে। আমাদের এমনিতে সাধারণ দিনগুলোতে সাড়ে ৯ কোটি লিটার পানি উত্তোলন করা হয়ে থাকে। চাহিদা বাড়ার কারণে আমরা আমাদের পাম্পিং সময় বর্তমানে এক ঘন্টা বাড়িয়ে দিয়েছি। আগে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আমাদের গভীর নলকূপগুলোতে পানি উত্তোলন ও সরবরাহ করা হতো। এখন চাহিদা বেড়ে যাবার কারণে প্রতিটি নলকূপ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চালু রাখা হচ্ছে। রমজান মাসে এ সময় আরো আধা ঘন্টা বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোথাও পানির কোন ঘাটতি নেই।