সালে আহমেদ,ডেমরাঃ
দোকান থেকে খাদ্যসামগ্রী কিনে প্রতিনিয়ত অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে উপহার সামগ্রী দিচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।যারা মধ্যবিত্ত পরিবার আছেন, যারা চক্ষু লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারছেন না গরিবের কান্নার আওয়াজ সবাই শুনে, মধ্যবিত্তের কান্নার আওয়াজ বন্দি থাকে ঘরের মধ্যে
করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সমগ্র কলকারখানা বন্ধ। এ দিকে ঘরের খাবারও ফুরিয়ে গেছে। নিরুপায় হয়ে তাঁদের একজন স্থানীয় এক সাংবাদিককে বিষয়টি জানান,তখন তিনি ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ কে বিষয়টি জানান এবং তিনি সাথে সাথে উক্ত অসহায় ব্যক্তির নাম্বারে ফোন করে তার মানবিক ডাকে সাড়া দেয় এবং লোকটা ‘ভয়ে ভয়ে’ মুঠোফোনে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সিদ্দিকুর রহমানকে সমস্যার কথা বলেন। কিছু সময় পর ওসি তাঁদের জন্য খাবার নিয়ে যান।সোমবার রাজধানীর ডেমরার বামৈলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ সিদ্দিকুর রহমান ডেমরায় দায়িত্ব গ্রহন করার পর থেকে ডেমরা একটি মাদকমুক্ত ও অার্দশিক থানাতে পরিনত হচ্ছে। তার বিভিন্ন রকমের ব্যতিক্রমী কার্যক্রম সর্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। দেশের এই ক্লান্তিকালে ও ডেমরার বিভিন্ন এলাকা থেকে ফোন পেয়ে সাথে সাথে খাবার পৌছে দিচ্ছেন।নিজে গিয়ে ও অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত দের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেন, প্রচার প্রচারণার প্রয়োজন নাই তবে যাঁদের সাহায্য সহায়তা করছি তাঁদের দোয়া তো পাচ্ছি নিশ্চিত। এক বৃদ্ধ বাবাকে খাবার দিয়ে চলে আসতেছিলাম। ঐ বাবা খাবার সামগ্রী রেখে পিছন থেকে দৌড়ে এসে হঠাৎ আমাকে গালে চুমু খেয়ে বললেন ” বাবা আল্লাহ যেন তোমাকে ভালো রাখেন।এই দোয়াটুকু কার ভাগ্যেই জুটে।অাল্লাহ সহায়ক হলে মানুষের পাশে এভাবেই দাঁড়িয়ে তাদের দুঃখ কষ্ট কিছুটা লাঘব করবো ইনশাআল্লাহ।
আবেগাপ্লুত হয়ে সাহায্য পাওয়া লোকটা বললেন, ‘কারখানা বন্ধ।পরিবারে চার জন মানুষ। খাইবার কিচ্ছু ছিল না। তখন স্থানীয় সাংবাদিক ভাইয়ের সাহায্য নিলাম।এর কিছুক্ষন পর ডেমরা থানার ওসি অামাকে ফোন করলে অামি সমস্যার কথা বললে স্যার (ওসি) বললেন, বাড়ি থাকো, আসছি। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না স্যার খাবার নিয়ে আসবেন। আমরা খুশি।’
ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন,’খেটে খাওয়া মানুষেরাই এ সময়টাতে খুব কষ্টে আছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তাঁদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। প্রতি দিনই কেউ না কেউ ফোন দিয়ে কষ্টের কথা বলেন। সাধ্যমতো তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।অামার থানার মানুষ না খেয়ে থাকলে আমি থানার ওসি হিসেবে কি করে খাই?