স্বপন কুমার রায় খুলনা জেলা প্রতিনিধিঃ
স্বজনদের সাথে কক্সবাজারে আনন্দ ভ্রমনে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো মেধাবী ছাত্র শেখ রেজওয়ান আহম্মেদ (১৩)। সে খুলনার দাকোপের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ সাবেক ৪০ বছরের চেয়ারম্যান মরহুম শেখ আব্দুল হামিদের নাতি। এ ঘটনায় গোটা দাকোপবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস শেখ রেজওয়ান খুলনা সেন্ট যোজেফ স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র ছিল। মামা মামি ও খালামনিদের সাথে রেজওয়ান এবং তার বোন তাছিমা ইসলামের সাথে কক্সবাজারে যায় বেড়াতে। গত ২৫ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় হিমছড়ির সৈকতে সকলের সাথে রেজওয়ান আহম্মেদ আনন্দ উৎসবে মাতোয়ারা। ঠিক এমন সময়ে হঠাৎ স্রোতের টানে সকলে নিরাপদে উঠে আসতে পারলেও রেজওয়ান নিখোঁজ হয়ে যায়। সেই থেকে নৌ বাহিনী ও কোষ্টগার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা টানা উর্দ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে থাকে।অবশেষে প্রায় ৩০ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে কোষ্টগার্ড রেজওয়ানের লাশ উর্দ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখান থেকে লাশ খুলনায় আনার প্রক্রিয়া চলছিল। ঘটনা জানার পর থেকে গোটা দাকোপের মানুষ রেজওয়ানের শেষ সংবাদের জন্য তার পরিবার এবং মিডিয়া কর্মিদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে আসছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় রেজওয়ানের সংবাদ ও ছবি। সর্বশেষ এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর দাকোপের সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ আপামর জনতা শোক প্রকাশ করেছে।
তারা শিশু রেজওয়ানের রুহের মাগফেরাত কামনাসহ শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেনা জ্ঞাপন করেছে। রেজওয়ানের বাবা শেখ সাব্বির আহম্মেদ বিশিষ্ট সমাজ সেবক, মা ফেরদৌস আরা পলি খুলনা নজরুল নগর কলেজের প্রফেসার। তার দাদা মরহুম শেখ আব্দুল হামিদ ছিলেন দাকোপ সদর চালনা ইউনিয়নের ৪০ বছরের চেয়ারম্যান, তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত উপজেলা জাপার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে গেছেন।দাকোপের অধিকাংশ উন্নয়নে এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদের অবদানের কথা দাকোপবাসী কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করে। এ দিকে মৃত্যু রেজওয়ানের দাফন প্রক্রিয়ার ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে শেষ পর্যন্ত জানাযায়,আজ শুক্রবার বাদজুম্মা খুলনার দাকোপের পানখালী গ্রামে তার দাদা মরহুম শেখ আব্দুল হামিদের কবরের পাশে দাফন করা হতে পারে বলে পরিবারের অপর একটি সুত্রে জানাগেছে।