শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
শ্রীনগরে তন্তরে ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ-চায়না ক্লাব রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার।
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

গাইবান্ধা সদরের ফুলবাড়িতে দুর্বিষহ জীবন পার করছেন বন্যাদুর্গত হাজারো মানুষ-দৈনিক বাংলার অধিকার

অধিকার ডেক্স / ১৭২ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯, ৮:০৯ পূর্বাহ্ণ

রাকিবুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি ঘটেছে। এর ফলে জেলায় প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গৃহহীন হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। বন্যার ফলে অনেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ খোলা রাস্তায় এবং স্কুল কক্ষে অবস্থান করছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা থাকলেও গাইবান্ধার বেশ কিছু জায়গায় এখনো সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত অনেক এলাকার বন্যাদুর্গত মানুষ। এতে দুর্বিষহ জীবন পার করছেন হাজারো মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাইবান্ধা সদরের ফুলবাড়িতে অবস্থিত ত্রিমোহিনী সরকারি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় কক্ষে এবং রাস্তার উপরে আশ্রয় নিয়েছে হাজারো বন্যার্থ পরিবার। এসব পরিবার খোলা আকাশের নিচে দুর্বিষহ দিন পার করছেন। বন্যার ফলে অনেকে গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন। অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে গবাদি পশু নিয়েও আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এখানে একটি বড় সমস্যা হলো পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। পয়ঃনিষ্কাশনের কোনো নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় অনেকে পানিতেই এটি সারছেন। এর ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আবার রাতে তাদের একটি বড় ভয় কাজ করে তা হলো পোকামাকড়ের। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নেই কোনো বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা।

অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, এখন পর্যন্ত আমাদেরকে কোনো ত্রাণ সামগ্রী দেয়নি। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও দেয়নি। এর ফলে পঁচা এবং দুষিত পানি খেতে হচ্ছে। আবার চাল,ডাল কিছুই নাই সব বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। তারা আরও বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। এবং নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা। এর ফলে জরুরী সেবাও পাচ্ছিনা। এছাড়া জায়গার অভাবে একাধিক পরিবার গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। এই সমস্যার সময় চেয়ারম্যান ও মেম্বার আমাদেরকে তো দেখতেও আসেনি। তারপরও এখানে নেই বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা। তাহলে আমরা কিভাবে বাঁচবো।

বন্যার ফলে এভাবেই তারা কাটাচ্ছেন দুর্বিষহ জীবন। তাই তারা সকলেই চান বন্যাদুর্গত মানুষদের নিকট দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাক। যেন সকলে বাঁচতে পারেন। তাই তারা সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!