|| ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ || ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
গাইবান্ধা সদরের ফুলবাড়িতে দুর্বিষহ জীবন পার করছেন বন্যাদুর্গত হাজারো মানুষ-দৈনিক বাংলার অধিকার
প্রকাশের তারিখঃ ২১ জুলাই, ২০১৯
রাকিবুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি ঘটেছে। এর ফলে জেলায় প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গৃহহীন হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। বন্যার ফলে অনেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ খোলা রাস্তায় এবং স্কুল কক্ষে অবস্থান করছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা থাকলেও গাইবান্ধার বেশ কিছু জায়গায় এখনো সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত অনেক এলাকার বন্যাদুর্গত মানুষ। এতে দুর্বিষহ জীবন পার করছেন হাজারো মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাইবান্ধা সদরের ফুলবাড়িতে অবস্থিত ত্রিমোহিনী সরকারি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় কক্ষে এবং রাস্তার উপরে আশ্রয় নিয়েছে হাজারো বন্যার্থ পরিবার। এসব পরিবার খোলা আকাশের নিচে দুর্বিষহ দিন পার করছেন। বন্যার ফলে অনেকে গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন। অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে গবাদি পশু নিয়েও আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এখানে একটি বড় সমস্যা হলো পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। পয়ঃনিষ্কাশনের কোনো নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় অনেকে পানিতেই এটি সারছেন। এর ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আবার রাতে তাদের একটি বড় ভয় কাজ করে তা হলো পোকামাকড়ের। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নেই কোনো বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা।
অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, এখন পর্যন্ত আমাদেরকে কোনো ত্রাণ সামগ্রী দেয়নি। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও দেয়নি। এর ফলে পঁচা এবং দুষিত পানি খেতে হচ্ছে। আবার চাল,ডাল কিছুই নাই সব বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। তারা আরও বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। এবং নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা। এর ফলে জরুরী সেবাও পাচ্ছিনা। এছাড়া জায়গার অভাবে একাধিক পরিবার গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। এই সমস্যার সময় চেয়ারম্যান ও মেম্বার আমাদেরকে তো দেখতেও আসেনি। তারপরও এখানে নেই বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা। তাহলে আমরা কিভাবে বাঁচবো।
বন্যার ফলে এভাবেই তারা কাটাচ্ছেন দুর্বিষহ জীবন। তাই তারা সকলেই চান বন্যাদুর্গত মানুষদের নিকট দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাক। যেন সকলে বাঁচতে পারেন। তাই তারা সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
Copyright © 2024 দৈনিক বাংলার অধিকার. All rights reserved.