~আমি আর ফিরবো না ~
~~~~~~~~~~~~~পাপিয়া আক্তার- দৈনিক বাংলার অধিকার
——————–বিবাগী রাতের ধ্রুব তারার
বেদনার আলোয় বসবে চোখের জল আর
ঝরাবোনা।তোমার রেখে যাওয়া পান্ডুলিপিতে
আমার কবিতা আর লিখবো না।সন্ধ্যা ঘনিয়ে
আঁধার নামলে আমার স্মৃতি নিয়ে তোমার
পিছু তাড়া করবোনা।
——————-বিপন্ন গোধূলির ক্লান্ত বলয় ছুঁয়ে
অসম্ভব কষ্টকে বুকে চেপে পিছনে ফিরে তাকাবো
না। আর কখনোই তোমার চোখে চোখ রেখে
সন্ত্রস্ত ভাবনার এলোচুলে জ্যোৎস্নায় বলবো না
আর ভালবাসি।
——————অভিমানে কতো কেঁদেছি তোমার
বুক পকেটে নোনা পানি মুছতে। রাগ গুলো
দেওয়ালে আঁচড়ে, ভাঙা পাঁজরে আঘাত করেছি।
কতোবার মরেছি,কতোবার বেঁচেছি,নিশ্চুপ
নিরালায় কতোইনা মাথা ঠুকেছি।তিল তিল করে
যেটুকু অভিমান গড়েছি তা আর ভাঙবো না।
——————–তোমার গন্ডদেশে কাক চক্ষু
নোনা জলে সিক্ত হলেও আমি আর আসবো না।
গভীর অন্ধকারে সমাপ্তি রেখায় আমার কথা
মনে পড়লেও আমি আর ফিরবো না।প্রচন্ড
ভালবাসার বহিঃপ্রকাশে তুমি আকাশ বাতাস
প্রকম্পিত করলেও আমি দরজা খুলবো না।
———————যদি যন্ত্রনায় মরে যাই, তুমি
আমার নও জেনে ফিরবোনা কোনদিন মনে রেখো।মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে ভীষন একা থাকবো, দরজা
জানালা বন্ধ করে অন্ধকারে একা থাকবো,কোন
আলো ঢুকতে দেবনা ঘরে।এমনকি বাতাস
চলাচলের জন্য আলপিন পরিমাণ ছিদ্র।
———————তোমার ঐ গলির পথে দাড়িয়ে
থাকবোনা।মেঘলা দিনে বৃষ্টি দেখে তোমার কথা
ভাববো না।চলে যাবো তোমার পৃথিবী ছেড়ে।ফিরবো
না আর শত ডাকার পরে।দেখবো না জানালা খুলে
উঁকি দিয়ে কতটা জল গড়িয়ে যাচ্ছে তোমার চোখের
নদী বেয়ে।
———————-যতোটা দূরে গেলে বুঝবে
হারিয়ে গেছি,দৃষ্টির আড়াল হলে শব্দরা আর
পৌঁছবে না।নিঃশ্বাস থেকে দীর্ঘশ্বাস,দীর্ঘশ্বাস থেকে
মৃত্যু। যতোটা দূরত্ব পার করলে বুঝবে আমি আর
নেই, ঠিক ততোটাই যাবো,তারপরেও আমি আর
ফিরবো না।
———————-সময় ঠিক মনে করিয়ে দিবে
তোমায় সত্যি ক্ষমার যোগ্য ছিলেনা কোনদিন।
আমি ছিলাম সহসার প্রজাপতি,অগাধ বিশ্বাস
সঁপে দিয়েছিলাম। তাই বুঝতে হয়ে গেছে বড্ড দেরী।
আমি আজ বিরহের পথিক।তোমার শহর আমার
হয়েছে অজানা।
———————-চোখে চোখ রেখেও পারিনি এই
পোড়া চোখের ভাষা বুঝাতে। আমাকে স্মৃতির
জানালা খুলে দিয়ে গেলে হারিয়ে।যে ফুলের নিষ্পাপ
পাপড়ি মিথ্যা অহংকারে ঝড়ালে তুমি,সে ঝড়া
ফুলের কাটায় অভিশপ্ত হয়ে কাঁদবে একদিন
অনবরত তুমি।