শিশুদের পরিচর্যায় যুক্তরাজ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন ব্রিটিশ এমপি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। সোমবার পার্লামেন্টে ভাষণদানকালে তিনি এ সংক্রান্ত নতুন এক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এ সময় কর্মজীবী মা-বাবার সন্তানদের যত্নে ব্যয়সাধ্য পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান জানান তিনি।
টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে নির্বাচিত লেবার পার্টির এমপি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জননী। এছাড়া তিনি হাউস অব কমন্সে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর চাইল্ডকেয়ার অ্যান্ড আর্লি এডুকেশনের চেয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বদলীয় এই পার্লামেন্টারি গ্রুপের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে ‘স্টেপস টু সাসটেইনেবিলিটি।’ এতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত তহবিল দেওয়া না হলে যুক্তরাজ্যে শিশুদের পরিচর্যার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক শুধু ধনীদের বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, আমরা জানি যে জীবনের প্রাথমিক বছরগুলো শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং ভবিষ্যত জীবনের সম্ভাবনাগুলো বিকশিত হওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ শিশুদের পরিচর্যাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং তা বজায় রাখার জন্য লড়াই করছে। সরকারের নীতির কারণেই তাদের এমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের প্রতি অনুরোধ যেন আমাদের এ সংক্রান্ত সুপারিশগুলো মেনে নেওয়া হয়। সফল ও টেকসই চাইল্ডকেয়ার নীতির আলোকে যেন তাত্ক্ষণিক তহবিল ও সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উপযুক্ত কর্মীদের পরিবারের তিন ও চার বছর বয়সী শিশুরা সরকারি তহবিলে প্রতি সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা করে চাইল্ডকেয়ার সুবিধা ভোগ করে। তবে এটি চালুর পরপরই সমালোচনার মুখে পড়ে বিষয়টি। সমালোচকরা বলছেন, যে তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে এ ধরনের একটি সেবা চালু রাখা যায় না। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিডা’র ধারণা, এই সেক্টর বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি তহবিল ঘাটতির কবলে পড়বে।
সর্বদলীয় প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো না হলে চাইল্ড কেয়ার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ধনীদের বিষয়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। কর্মজীবী মা-বাবাদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে