————তোমার চিঠি পড়বো বলে
তন্ময় শরতের সাদা মেঘে লুকোচুরি খেলায়
মন রাঙিয়ে ভোরের প্রথম আলোয় শত শত
ঝরে পড়া শিউলির শুভ্রতা কুড়িয়ে মালা
গেঁথে খোঁপায় রাঙাই।
————–চেয়ে থাকি দুচোখ মেলে, অস্হির
দুচোখ হরিণী মুখ শুধু তোমার পানে টানে,
চঞ্চল নাক স্হির অধর কাঁপা ওষ্ঠ সেই দূর
শহরে চেয়ে থাকে তৃষিত চাকতের মতো
স্বপ্নীল ভোরে।
————–ভোরের শিশিরের বিন্দু হতে
নিয়েছি সংকলিত শোভা,ফুলের কাছ থেকে
সুগন্ধি, কোকিলের কাছ থেকে নিয়েছি সুমধুর
কন্ঠ।শ্রাবনে ভিজেছি,রৌদ্রে পুড়েছি,বসন্তে
নিয়েছি আবিরে,তারপর কষ্টগুলো ভাসিয়ে
দিয়েছি জলে।অঘ্রানের কুয়াশায় কু – আশা
গুলো রোদ্দুর ছেড়ে মিশিয়ে দিয়েছি ঘাসে।
—————সব প্রতীক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে
জানালার ওপারে দূর আকাশে কেবল তোমার
প্রতিবিম্বে পথ চেয়ে কতো ক্ষন গিয়েছে আমার
অবলীলায় কতো বিনিদ্র রজনী কাটিয়ে ভোর
দেখেছি ইচ্ছায়।
—————নিজেকে খুঁটিয়ে দেখেছি অকারনে
হেসে উঠে, দুহাতে কাঁচের চুড়ি বাজিয়ে কিনি-
কিনি অধরের আশ্বিনে দিয়েছি অকাল বৈশাখী
ধুলো উড়ো মাঠ,ভাবনার শরীর বিছিয়ে।
—————-হৃদয়ের ফুল দানিতে সাজিয়ে
রেখেছি চাঁদ,বারান্দার গ্রিলে চুল খুলে দাঁড়িয়ে
কবিতার মতো উপভোগ করেছি নীলাকাশ।
আপন করেছি লতা হেমন্তের সুর।
—————–নির্বাক নিরালায় সদা বাঁজিয়েছি
বেদনার সুর নয়নাভিরাম স্নিগ্ধ তরলের বেশে।
ঘাঁসফুলের মতো লাল সাদা রুপে রূপবতী –
রোদের ঝিলিমিলিতে স্বাগত জানিয়ে বিদায়
বেলা,কখনো বা অধীর ধৈর্যের পরীক্ষাগারে।