স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো দৈনিক বাংলার অধিকারঃ
খুলনা জেলার দাকোপের তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গড়খালী পাঁকা ঘাট এলাকায় অবস্থিত জনৈক রশিদের দোকানে জুয়া খেলা অবস্থায় ছয় সন্তানের জনক জুয়াড়ী শিবসা নদীতে ঝাপ দিয়ে পানিতে তলিয়ে মৃত্যু বরণ করেছে। নিহতের লাশ দুই দিন পর ঝালবুনিয়া এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার। কোন রকম ময়না তদন্ত ছাড়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করায় এলাকায় নানা গুনজনের সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিকে নিহতের পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতাম। স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের গড়খালী এলাকার মনু শেখের পুত্র ইউনুচ শেখ(৫৪) দীর্ঘ দিন ধরে ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ফাঁড়ি পুলিশকে ম্যানেজ করে গড়খালী পাঁকা ঘাট এলাকায় রশিদের দোকানে জুয়ার আসর চালিয়ে আসছিলো। তারই ধারা বাহিকতায় গত সোমবার ১৭ জুন দিবাগত রাতে ৭/৮ জন জুয়াড়ী এক সাথে বসে জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছিল। গভীর রাতে দুটি মটর সাইকেল জুয়ার আসরের দিকে আসতে থাকলে জুয়াড়ীরা পুলিশের উপস্থিত মনে করে ইউপি সদস্য ইকবাল এবং ইউনুচ সহ ৪/৫ জন পাশবর্তী শিপসা নদীতে ঝাপ দেয়। রাতের অন্ধকারে সকলে নদী থেকে নিরাপদে উঠতে সক্ষম হলেও ইউনুচ শেখের কোন খোজ পাওয়া জায়নি। পরবর্তিতে আত্মীয় সজন ও এলাকাবাসী বহু খোজা খোজি করেও ইউনুচের কোন সন্ধান মেলাতে পারিনি। বুধবার সকালে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের ঝালবুনিয়া নামক স্থানে শিপসা নদীতে এলাকাবাসী ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায়। তারা পুলিশ এবং ইউনুচের আত্মীয় স্বজনদের খবর দেয়। ঘটনাস্থলে ইউনুচের আত্মীয় স্বজন লাশ শনাক্ত করে। পুলিশ উক্ত ইউনুচের লাশ ইউডি মামলা নিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে দাফনের জন্য হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় এলাকায় নানান গুঞ্জন চলছে বলে এলাকা বাসী সুত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, রশিদের দোকানে জুয়া খেলার প্রস্তুতির সময় আমি বারণ করেছিলাম। কিন্তু কিছু সময় পরে জুয়াড়ীদের কাছে একটি ফোন আসে যে,পুলিশ আসছে। ঠিক তখনি তারা ভয়ে ৪/৫ জন শিবসা নদীতে ঝাপ দেয়। আমি নদীতে ঝাপ দেয়নি। আর জুয়া খেলার ব্যাপারে পুলিশের সাথে আমার কোন সক্ষতা নেই। এ বিষয় কামিনিবাসিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সৈয়দ আলী সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি সকল বিষয় অস্বীকার করেন বলেন, জুয়া খেলা হয়-কি না আমার জানা নেই।
দাকোপ থানা অফিসার ইনর্চাজ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন,নিহত ইউনুচের পরিবারের পক্ষথেকে কোন অভিযোগ না হওয়া এবং কোন সন্দেহ না থাকায় তাদের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউডি মামলার মাধ্যমে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপ্যারে দাকোপ থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে যার মামলা নং- ১১,তারিখ ১৯/০৬/১৯ ইং-।