পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মো. সাগর(২০) নামে এক অটো চালককে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দিয়ে গাড়িসহ পুলিশে সোপর্দ করেছে। এঘটনায় ওই দিন(২৫ নভেম্বর) রাতেই নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে অটো চালক মোঃ সাগরকে আসামী করে দুমকী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ওই চালক পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আলাল হাওলাদারের ছেলে।
সূত্র জানায়, ২৫ নভেম্বর(শনিবার) বদরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ভুক্তভোগী ওই নারী সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে একা নিজ বাড়ি দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া যাওয়ার জন্য সাগরের অটো গাড়িতে ওঠেন। সখানাথ সাহা’র বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ গাড়ি থামিয়ে ওই নারী যাত্রীর মুখ চেপে ধরেন সাগর এবং জোরপূর্বক গাড়ি থেকে নামিয়ে নদীর পাড়ে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মুখ থেকে হাত সরে গেলে সম্ভ্রম বাঁচাতে নির্যাতিতা ওই নারী চিৎকার দেন। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে ওই নারীকে উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্ত সাগরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দুমকী থানার এস আই দেলোয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সাগর নামে একজন অটো চালককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত অটো চালক সাগরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি একেক সময় এককেক কথা বলেন। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই যাত্রীর কাছে ভাড়া চেয়েছেন কেন এমন প্রশ্নেরও কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই সাগর। যদিও তার বড় বোন জেসমিন আক্তার সাথী দাবি করে বলেন, আমার ভাইয়ের মাথা প্রায়ই গরম থাকে। একটুতেই রেগে যায়, গুছিয়ে কথা বলতে পারে না।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, আসামী আগের থেকে সুস্থ হওয়াতে ২৮.১১.২৩ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার সকালে তাকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।