আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড, আকবরশাহ ও পাহাড়তলী আংশিক) আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়ন পত্র কিনিছেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েটরা। এ কারণে এই আসন নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থক সহ রাজনৈতিক কর্মীদের আগ্রহ বেড়েছে। আকবরশাহ, পাহাড়তলী আংশিক ও সীতাকুণ্ড উপজেলা নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকায় বর্তমান ভোটার ৪ লাখ ৫১হাজার ৫৭১জন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১১টি জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ জয় পায় ৫ বার। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ আসনে মনোনয়ন পত্র কিনেছেন ১১জন। তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বর্তমান এমপি আলহাজ্ব দিদারুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন পাওয়ার আশায় সদ্য উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করা আলহাজ্ব এস এম আল মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইমরান, ব্যারিস্টার চৌধুরী জিন্নাত আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ ফখরুউদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও চসিক সাবেক প্যানেল মেয়র ড.নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, রতেন্দু ভট্টাচার্য্য, আবু মানির মোহাম্মদ শহিদুল হক চৌধুরী, মহিউদ্দিন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র কিনে জমা দিয়েছেন। উপজেলার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিকরা মনোনয়ন পেতে মরিয়া হওয়ায় নেতাকর্মী সহ দলের শুভানুধ্যায়ীদের নজর এ আসন কে ঘিরে। কে পাচ্ছেন চট্টগ্রাম-৪ আসনে নৌকা? এ আলোচনায় গত তিন দিন ধরে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মীদের সকল আড্ডায়। দলীয় কর্মীদের প্রত্যাশা এবারও এই আসনে আওয়ামী লীগের জয় হবে। নৌকার পক্ষে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার পক্ষে নেতারা। আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি বলেন, আমি দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আমার নির্বাচনী এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছি। মননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আবারও আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আগামী দিনেও এই উন্নয়ন কার্যক্রমকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। যদি আমাকে দল মনোনয়ন না দিয়ে অন্য কাউকে দেয় তাহলেও নৌকাকে জিতানোর জন্য তারপক্ষে কাজ করবো। সাবেক এমপি আবুল কাশেম মাস্টারের সন্তান আলহাজ্ব এসএম আল মামুন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সহযোগী হতে চাই। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে চাই। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে এ আসনে অবশ্যই নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। একাধারে তিনি দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এবং বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ্ আল বাঁকের ভূঁইয়া বলেন, আমার জীবনের ৪০টি বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে অতিবাহিত করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি এবার আমাকে নমিনেশন দেয় তাহলে আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগী হতে পারবো। একাধারে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, বর্তমানেও তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক লায়ন আলহাজ মোহাম্মদ ইমরান বলেন, দলের নীতি ও আদর্শকে সামনে রেখে জনগণের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারে সীতাকুণ্ডের সব ইউনিয়ন চষে বেড়িয়েছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন সে স্বপ্নের সহযাত্রী হতে চাই। আর শিল্পপতি পারভেজ উদ্দীন চৌধুরী সান্টু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একবার সীতাকুণ্ড বাসীর সেবা করার সুযোগ চাই। যদি দল মনোনয়ন দেয় তা হলে সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করতে পারব। সৌন্দর্য আর অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এই আসন রাজনৈতিকভাবেও অন্য এলাকার চেয়ে আলোচনায় স্থান পায় বেশী। কারণ ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় ১৯৭৩ সাল থেকে সর্বশেষ ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই উপজেলা থেকে যে দলের প্রার্থী জয়লাভ করেছেন সেই দলই সরকার গঠন করেছে।