ফেনীর সোনাগাজীতে পারিবারিক কলহ যৌতুক দাবি ও লম্পট শশুর ইউসুফ এর কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় জাহানারা আক্তার পপি (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে তার শশুর ইউসুফ কর্তৃক হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ করেছে নিহত গৃহবধূর প্রবাসী স্বামী ও স্বজনেরা। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর শশুর শাশুড়ি ননদ সহ স্বজনেরা পলাতক রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোনাগাজী পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ড, পশ্চিম তুলাতুলি গ্রামের (ফায়ারসার্ভিস সংলগ্ন) মোঃ ইউসুফের নতুন বাড়ীতে। ঘটনার খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ১৮ নভেম্বর (শনিবার) বাদ আসর ময়নাতদন্ত শেষে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের স্বরাজপুর মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে গৃহবধূর লাশ দাফন করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মতিগঞ্জ ইউনিয়নের স্বরাজপুর গ্রামের মোঃ নিজাম উদ্দিনের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে জাহানারা আক্তার পপি (২২) সর্ব কনিষ্ঠ। ২০১৮ সালে সোনাগাজী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের (ফায়ারসার্ভিস সংলগ্ন) মোঃ ইউসুফ মিয়ার ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী মোঃ আবু জাহেদ সুমনের সাথে বিবাহ হয়।
বিবাহের পর থেকে যৌতুক ও বিভিন্ন ইস্যুতে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয় এবং শশুর তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ করে গৃহবধূর স্বজনরা।
গত ১৬ই নভেম্বর দিবাগত রাত ১১ টা থেকে ১৭ই নভেম্বর ভোর ৬টার মধ্যে কোন একসময় গৃহবধূকে তার শশুর ইউসুফ, শাশুড়ী শাহানা আক্তার ও ননদ লাভলী আক্তার সহ অজ্ঞাতরা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন গৃহবধূর ভাই আবদুল্লাহ আল নোমান।
নোমান আরও জানান সে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পপিকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত, পা দুটো খাটের উপর হাঁটু গেড়ে থাকা অবস্থায় ও ডানহাত আলনার উপর ছিল দেখেন। গৃহবধূর ৪বছর বয়সী সন্তান মাঈনুল ইসলাম আরফান বলেন আমার দাদা আমার মাকে গলায় রশি বান্ধি মারি ফালাইছে। গৃহবধূর লাশ দাফনের পর তার স্বজনেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে শ্লোগান দেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হাসান ইমাম গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই বিষয়ে সোনাগাজী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে, লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।