কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভারতীয় বক্তা ব্রাদার রাহুল এর আগমনের প্রতিবাদে মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাদ আছর উপজেলার আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নের আন্ধারিঝাড় বাজার জামে মসজিদের সামনে ভূরুঙ্গামারী -কুড়িগ্রাম সড়কে তাওহীদি জনতার ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করলে স্থানীয় লোকজন বাধা প্রদান করে।
এসময় ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে মানববন্ধনকারীদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইইম্মাহ পরিষদ, কওমি ওলামা পরিষদ, ইসলামী যুব ও ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এই মানব বন্ধনে অংশ নিতে জড়ো হন।
এসময় স্থানীয় লোকজন বাধা দেওয়ার কারণে কিছুটা হট্রগোলের সৃষ্টি হয়। হট্রগোলের মাঝে মানব বন্ধনে আসা বক্তারা ভারতের বিতর্কিত বক্তা ব্রাদার রাহুলকে ভূরুঙ্গামারীতে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
জানাগেছে, উপজেলার আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নের ভূরুঙ্গামারী -কুড়িগ্রাম সড়কের পাশে আহলে হাদীস সম্প্রদায় দারুসসুন্নাহ রহমানিয়া সালাফিয়া নামে একটি মাদরাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে।
সেই মাদরাসার মাহফিলে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ভারতীয় বক্তা ব্রাদার রাহুলের বয়ান করার কথা রয়েছে।
তিনি ব্রাদার রাহুল ইসলাম এবং শরিয়তের ভুল ব্যাখ্যা দেন এবং বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত হওয়ায় তাকে ভূরুঙ্গামারীতে ঢুকতে না দিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে তৌহিদী জনতার ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনের আয়োজন কারিদের একজন মাওলানা এস এম মনিরুজ্জামান জানান, ভারতের বিতর্কিত বক্তা ব্রাদার রাহুল বাংলাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমদের কাফির ও ফাসিক ফতোয়া দিয়েছেন।
এছাড়াও ইসলাম ও মাযহাব নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্য দেন তিনি। তাই ভূরুঙ্গামারীতে উনার আগমন ঠেকাতে আমরা এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করি কিন্তু স্থানীয় কিছু লোকজন আমাদের মানববন্ধনে বাধা দিয়েছে।
এ বিষয়ে দারুসসুন্নাহ রহমানিয়া সালাফিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা আহলে হাদিস এবং সালাফি মতাদর্শে বিশ্বাসী। আমাদের শায়েখরা কুরআন ও সহীহ হাদীসের কথা বলেন। এছাড়াও মিলাদ কিয়াম পীর মুরিদি নাজায়েজ বলার কারণে একটি পক্ষ আমাদের বিপক্ষে অপপ্রচার নেমেছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, একটি ভুল তথ্যের ভীত্তিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।
ভারতের মুর্শিদাবাদের ওই বক্তা ভূরুঙ্গামারীতে আসবেন না বলে মাহফিল আয়োজক কমিটি আমাদের জানিয়েছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।