সিলেটে অনুষ্ঠিত ৫০ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হ্যান্ডবল ফাইনাল আসরের তিনটি খেলায় বকুল অঞ্চলের কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর গোলাপ অঞ্চলের সাথে ৩-২৪ গোলের ব্যবধান, ২৯ সেপ্টেম্বর পদ্ম অঞ্চলের সাথে ৯-২৪ গোল এবং ৩০ সেপ্টেম্বর চাঁপা অঞ্চলের সাথে ৩-২০ গোলের ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হয়ে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট পেয়ে অষ্টম বারের মতো জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয় কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের হ্যান্ডবল টিম।
সম্প্রতি বান্দরবানের লামায় ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড়ধ্বসে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের প্রতিটি ক্যাম্পাসেই ক্ষয়ক্ষতি হয়, যার মধ্যে খেলার মাঠগুলো অন্যতম। দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই শুরু হয় ৫০ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩। কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ছাত্রদের নিয়মিত অনুশীলনে অসুবিধা সত্ত্বেও হ্যান্ডবল টিম এতে অংশগ্রহণ করে। কারণ মাঠ সংস্করণের সময় তাদের হাতে নেই। এভাবেই প্র্যাকটিস চালিয়ে গেছে স্কুলটির হ্যান্ডবল টিম। তাদের লক্ষ্য ছিল স্কুলের ধারাবাহিক সাফল্যকে ধরে রাখা। ফলস্বরূপ এবারো বিজয়ী তারা। করোনার কারণে দুবছর প্রতিযোগিতা বন্ধ থাকায় ২০১৩ থেকে ২০২৩ পর পর ৮ বার অংশ নিয়ে ৮ বারই জাতীয় চ্যাম্পিয়ন কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের হ্যান্ডবল টিম। কোয়ান্টাম শিক্ষাসেবা কার্যক্রমের ইনচার্জ ছালেহ আহমেদ বলেন, ‘দ্রুত আমাদের মাঠগুলোর সংস্কার কাজ শুরু করা দরকার। তা না হলে শীতকালীন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া এবং এই অঞ্চলের সুনাম ধরে রাখা আমাদের জন্যে কঠিন হয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ৫০ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশব্যাপী এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতাটি প্রথম শুরু হয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে, তারপর প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে টিম নিয়ে (একক/দলীয়) উপজেলা এবং মহানগরীর ২০টি থানা পর্যায়ে বিজয়ী দল জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। জেলা পর্যায়ের দলগুলো ৯টি উপ-অঞ্চলে ভাগ হয়ে খেলায় অংশ নেয়। উপ-অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন দলগুলো ৪টি অঞ্চলে (পদ্ম, গোলাপ, চাঁপা ও বকুল) বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ বকুল অঞ্চলের হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে বরাবরের মতো।