ভারতীয় ভিসা সেন্টারে ঢুকে হুমকি, নারী গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে ঢুকে কর্মচারীদের হুমকি-ধামকি দেওয়া ও ভিসা প্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে নুরুন্নাহার খাতুন মিলি নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে তাকে একটি প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।এর আগে বৃহস্পতিবার ভিসা সেন্টার কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ।
নুরুন্নাহার খাতুন মিলি নগরীর উপশহর নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থিত রাফি টুরস অ্যান্ড ট্রাভেল্সের স্বত্বাধিকারী এবং উপশহর এলাকার নম্বর ১ সেক্টরের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, মহানগরীর বর্ণালীর মোড়ে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিলি নামের ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ভিসা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে একাধিক সেবাগ্রহীতার।সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, গ্রেপ্তার নারী অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ভারতীয় ভিসা করিয়ে দেওয়াসহ ভারতীয় হাসপাতালের রোগী পাঠানোর কাজ করে থাকেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতারা তার কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছেন। এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে গেলে ওইসব সেবাগ্রহীতাদের নারী দিয়ে নানাভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়া হতো। এই ভয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করতে সাহস পেত না।
ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, “কিছুদিন আগে রাজশাহী ভিসা সেন্টারে একজন আবেদনকারী তার পরিবারের মোট তিনটি ভিসার কাগজপত্র নিয়ে আসেন। আমরা তার আবেদনপত্র অনলাইনে যাচাই বাছাই করে দেখি তিনি আবেদনের নির্ধারিত ফি জমা না দিয়েই এসেছেন। তাকে বিষয়টি অবগত করা হয়।”বিপ্লব বলেন, স্থানীয় একটি টুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের এক নারীর মাধ্যমে তিনি অনলাইনে ভিসার ফি পরিশোধ করেছেন। ভারতীয় তিনটি ভিসার জন্য নির্ধারিত ফি ২ হাজার ৫২০ টাকা। সেখানে ওই আবেদনকারীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ টাকা।
অথচ ওই আবেদনকারীর কোনো টাকাই পরিশোধ করা হয়নি। আবেদনকারী উল্টো আমাদের সন্দেহ করেন। আমরা বুঝতে পারি আবেদনকারী প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর আমরা তাকে পুলিশে অভিযোগের পরামর্শ