সাংবাদিক হাসানুজ্জামানকে হত্যা ও গুম করার হুমকি। থানায় অভিযোগ
দৈনিক বাংলার অধিকার ও দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার শাহরাস্তি উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক হাসানুজ্জামানকে প্রাণনাশ ও গুম করার হুমকি দিয়েছে এক সন্ত্রাসী।
২১ আগষ্ট সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এসে এমন হুমকি প্রদান করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই গ্রামের হাসান আহমেদ পারভেজের পুত্র জাকারিয়া (২৮) একই গ্রামের মৃত মমতাজুল হকের পুত্র সাংবাদিক মোঃ হাসানুজ্জামানকে প্রাণনাশসহ গুম করার হুমকি দেয়। এসময় তিনি বাড়ি না থাকায় জাকারিয়া তার বাড়িতে ঢুকে রুক্ষ আচরন ও হুমকি প্রদান করে।
এবিষয় তিনি বাদী হয়ে এবং হুমকি দাতা জাকারিয়াকে বিবাদী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সাংবাদিক হাসানুজ্জামান- দৈনিক ভোরের দিগন্ত পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার
উপজেলা প্রতিনিধি,
সাপ্তাহিক পাঠক সংবাদ পত্রিকার যুগ্ন সম্পাদক, জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক,
বাংলাদেশ কবি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, স্বপ্নীলকন্ঠ সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি, শাহরাস্তি অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি,
শাহরাস্তি সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী জাকারিয়া বাদীর বাড়ির পাশ্ববর্তি ঘরের বাসিন্দা। পেশায় সে একজন ট্রাক ড্রাইভার। বিবাদী অতিশয় দুষ্ট প্রকৃতি, খারাপ চরিত্র, দুস্কৃতিকারী, মন্দমুখধারী, চুরি-ছোচ্চামি, মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। বিবাদীর বসত ঘরে প্রতিদিন দিন-রাতে একাধিক মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা আসা যাওয়া করে। বাড়িতে অপরাপর গৃহবধূ ও মেয়েরা রয়েছে। যারা বিবাদীর এহেন লোকজনের কারনে স্বাভাবিক চলাচলে বিগ্নিত হচ্ছে। এবিষয়ে বিবাদীকে বারবার নিষেধ করলেও বিবাদী তা কর্ণপাত না করে উল্টো বাদীর পরিবার পরিজনকে হুমকি ধমকি প্রদান করে। ঘটনার দিন বাদী বাড়ি না থাকায় বিবাদী তার বাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে বিবাদী বাদীকে গুম করে হত্যা করার প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করে। একইদিন দুপুরে বাদীর বসত ঘরে ঢুকে অভিযোগের সকল স্বাক্ষীদের হুমকি ধমকি প্রদান করে। বিষয়টি বাদীর তার নিজ বাড়ির সকলকে অবহিত করেছে। যেহেতু বাদী গণ-মাধ্যমে কাজ করে সেহেতু বাদী এবং আমার পরিবার পরিজনদের নিয়ে বিবাদীর এহেন হুমকি কারনে জীবন নিরাপত্তাহীতায় ভুগছেন। এমতাবস্থায় তিনি আইনি সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ঘটনার ২নং স্বাক্ষী বলেন, ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টায় জাকারিয়া বাড়িতে ঢুকে সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। কেন গালমন্দ করছিস? জানতে চাইলে জাকারিয়া বলে, “হেতে আঁর বিরুদ্দে গিরিঙ্গী করে। আঁর ঘরে পুলিশ পাঠায়, আঁই হেতারে ওয়ান-টুতে গুম কইরগুম। আন্নে হেতারে কই দিয়েন”
এসময় সাংবাদিকের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও পুত্রবধূ উপস্থিত ছিলো। তিনি আরও বলেন, তার রুক্ষতা ও ক্ষিপ্রতা ছিলো নেশাখোরের মত। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা না হলে যেকোন সময় সাংবাদিকের বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, জাকারিয়া একজন ট্রাক ড্রাইভার। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের মালামাল পার করার সময় ট্রাক থেকে মালামাল চুরি করে। স্থানিয় ঠাকুর বাজারের ব্যবসায়ী আক্তার পাটোয়ারীর ফ্লাওয়ার মিলের জন্য আনা ২৪০ বস্তা গম চুরি করে। পরে এই চুরি করা ২৪০ বস্তা গমের জরিমানা দিয়ে মুক্তি পায় সে। তার কিছুদিন আগে পূর্ব ঠাকুর বাজারে চুরি করতে গিয়ে ধরা খেলে মানুষ তাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে এবং তার অভিভাবকরা এসে মুচলিকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়। মারামারি, সন্ত্রাসী, মাদক সেবন, বিক্রি করন, চুরি, মানুষকে হুমকি-ধমকি দেয়া এটা তার নিত্যদিনের কাজ। এমনকি এই জাকারিয়া তার মা ও বোনদেরকে বেদম মারধরসহ অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। যা ওই বাড়ির সবাই তাকে ডাক দিতো।
এবিষয়ে তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।