১৫ আগস্ট জাতীয় জীবনে একটা কলঙ্কের দিন বলে মনে করেন শিল্পপতি লতা গ্রুপ অফ কোম্পানির চেয়ারম্যান আইউব আলী ফাহিম।
তিনি বলেন,মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২৩। বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। কেননা পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে।পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সুবেহ সাদিকের সময় যখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল, তখন যে বৃষ্টি ঝরছিল, তা যেন ছিল প্রকৃতিরই অশ্রুপাত। ভেজা বাতাস কেঁদেছে সমগ্র বাংলায়। ঘাতকদের উদ্যত অস্ত্রের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাদেশ বিহ্বল হয়ে পড়েছিল শোকে আর অভাবিত ঘটনার আকস্মিকতায়। কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন।
স্বাধীনতার পরবর্তী অতি অল্প সময়ে বঙ্গবন্ধু যখন তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে বাঙ্গালি জাতিকে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত জাতিতে করতে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের এই দিনে হত্যা করা হয়েছিলো বাঙ্গালির স্বাধীনতাকে, অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে।
যখন মসজিদ থেকে সুললিত কন্ঠে ভেসে আসছিলো মোয়াজ্জিনের ফজরের আযান, ঠিক তখনই প্রকাণ্ড গর্জনে ঘাতকের গুলি বর্ষণে ঝাঁজড়া হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর বুক,হত্যা করা হয়েছিলো বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের সকলকে, বাদ যায়নি ছোট্র শিশু রাসেলও। দেশি বিদেশী শত্রুর মদদপুষ্ট স্বাধীনতা বিরোধী ওই অপশক্তি সেদিন মুলত বঙ্গবন্ধুকে নয়, তাঁর আদর্শকে ধ্বংস করার জন্য বিশ্বের ইতিহাসে নৃশংস এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিলো। বাঙ্গালি জাতির ইতিহাস থেকে এই কলংকের অধ্যায় মুছে যাওয়ার নয়। শোষণ মুক্ত একটি দেশ, স্বাধীন মানচিত্র ও পতাকা উপহার দেয়া মুক্তিযুদ্ধত্তোর ধ্বংস স্তুপের মধ্য থেকে নতুন জীবন নির্মাণ করা, দেশের উপর দেশবাসীর মালিকানা প্রতিষ্টা করাসহ বঙ্গবন্ধুর ঈর্ষণীয় সফলতা ঘাতকেরা মেনে নিতে পারেনি, তাইতো তাঁরা সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাঁরা মুলত বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু এত সহজেই কি মোছা যায় জাতির জনকের নাম, আর জনকের স্বপ্নজাত দেশটিকে?
৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সমগ্র বাঙ্গালি জাতির ললাটে যে কলংকতিলক দেশদ্রোহী নরপশুরা এঁকে দিয়েছিলো, জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করে তা মোচন করেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আত্মস্কীকৃত খুনিদের অধিকাংশেরই ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালনের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।