মো: আতাউর রহমান সরকার ( মতলব উত্তর প্রতিনিধি): আসন্ন ছেংগারচর পৌরসভা নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আ: লতিফ মিয়াজীকে নিয়ে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। নিবার্চনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রার্থীরা পাড়া-মহল্লায়, চা-দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে তাদের গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ডের একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী হলেও জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছেন আ: লতিফ মিয়াজীর ডালিম মার্কা। পৌর এলাকাবাসী ও তার সমর্থকদের সূত্রে জানা গেছে, আ: লতিফ মিয়াজী দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে জন প্রতিনিধি না হয়েও জনগনের সেবার সাথে জড়িত। তিনি স্থানীয় ওটারচর গ্রামের সাদেক আলী মিয়াজীর একমাত্র ছেলে। মতলব দক্ষিণ মুক্তি কমপ্লেক্স নামে ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মাধ্যমে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছেন বহু বছর যাবত। এছাড়া বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ দিয়েছেন বহু অস্থায়ী ক্যাম্পে। তিনি সবার সুখে-দুঃখের সঙ্গী সাথী হিসেবে সুনাম কুড়িয়ে নিয়েছেন। তাই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর গ্রাম বাসীর এক বৈঠকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে যোগ্য কাউকে খুজে না পাওয়ায় তার নাম চলে আসে। তিনি প্রথমত নির্বাচনের আগ্রহী ছিলেন না। কারণ, ২০০৯ সালে তিনি মতলব উত্তর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। ২০২২ সালে মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের সফল সভাপতি ছিলেন। কাউন্সিলর নির্বাচন করার কথা সপ্নেও ভাবার কথা না। কিন্তু গ্রাম বাসী তাকে এবার কাউন্সিলর হিসাবে দেখতে চান। তাই গ্রামের মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়ার জন্য তিনি রাজি হন। সমৃদ্ধশালী আধুনিক উন্নয়নশীল মডেল পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি মাদক মুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত সাধারণ মানুষের দোয়া ও সহযোগীতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চান অসহায় মেহনতি মানুষের বন্ধু আ: লতিফ মিয়াজী। ইতি মধ্যেই সাধারণ ভোটারদের মাঝে তার সামাজিক যোগ্যতা,রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,আত্মীয়তার সম্পর্ক গুলো আলোচনায় উঠে এসেছে। ওয়ার্ডের প্রতিটি গ্রামের পাড়া মহল্লা সর্বত্রই ভোটারদের মুখে মুখে এখন কাউন্সিলর প্রার্থী আ: লতিফ মিয়াজীর ডালিম মার্কার জয়ধ্বনি। তাকে কাউন্সিলর হিসেবেই দেখতে চান স্থানীয় বেশির ভাগ ভোটার গণ। তাই গণসংযোগ মুহুর্তে জনজোয়ারের সৃষ্টি হয় নিমিষে-নিমিষেই। নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছে কয়েকশতাধিক ভোটার। সবার একটাই লক্ষ্য আ: লতিফ মিয়াজীকে কাউন্সিলর পদে জয়ী করে ১৭ তারিখ ঘরে ফিরবো, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমি সব সময় সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে ছিলাম, আছি এবং সারাজীবন থাকবো। এবার নিবার্চনে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। মনোনয়ন বৈধতা পেয়ে ডালিম প্রতীকে নির্বাচনের মাঠে আছি। জনগণ আমার পাশে আছে। আমি তাদের ভালোবাসা পেয়ে মুগ্ধ ও চির ঋণী।সকলের সহযোগীতায় বিজয় নিশ্চিত করবো। আর বিজয়ী হলে,সমাজের গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে সকল উন্নয়ন মুলক কাজ করবো, মাদক মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত, একটি উন্নত ও আধুনিক পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলবো। তাই সকলের নিকট আকুল আবেদন অনাগ্রহ থাকা স্বত্তেও আপনাদের ভালোবাসায় আমি সাড়া দিয়েছি,আপনারা ও আমার ডাকে সাড়া দিয়ে একটি একটি করে ডালিম মার্কায় ভোট দিন।
আগামী ১৭ জুলাই ছেংগারচর পৌরসভা নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে। গত ৩১ মে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়, ১৮ জুন মনোনয়ন জমা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল । ১৯ জুন মনোনয়নপত্র বাচাই ও প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ২৫ জুন। প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন ২৬ জুন। নির্বাচন পরিচালনা করছেন জেলা নির্বাচন অফিসার, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: তোফায়েল আহমেদ ও উপজেলা নির্বাচন কমিশন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্ত মো:আবুতাহের।