পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় ঈদুল আযহার সরকারি ছুটি শেষ সরকারি অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত রবিবার থেকে। অথচ সেই দিন থেকে ০৪.০৭.২৩ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার পর্যন্ত কার্যদিবস এবং ঈদের আগের চার কর্মদিবস অফিস করেননি বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাজমুল হক। তিনি ৭ দিন ধরে কর্মস্হল অনুপস্তি রয়ছেন। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারও তার অবস্তান নিশ্চিত করতে পারেননি। একরকম তিনি নিঁখাজ রয়েছেন। অফিসের কারো সাথেই তার কোন যোগাযোগ নেই। এমনকি তিনি ফোন পর্যন্ত দরছেননা।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা যায়,অফিসের একাডমিক সুপার ভাইজার নুরনবী,হিসাব রক্ষক মো জাহিদুর রহমানসহ অন্যরা উপস্তিত থাকলেও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল হকরে দেখা মেলনি। তঁার কক্ষ তালাবাদ্ধ অবস্ায় দখা যায়। এ সময় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কোথায় আছেন অফিসের হিসাব রক্ষক জাহিদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্যার ছুটিতে আছেন বলে আমি জানি।
নাম প্রকাশ অনুছুক ওই অফিসের এক কর্মচারী বলেন, মাধ্যমিক স্যার ঈদের আগের চার দিন অফিস করেননি। আবার ঈদের পর তিন দিন পর্যন্ত অফিসে আসেননি। উনি ছুটিতে আছেন কিনা তাও জানিনা। তিনি আরো বলেন, তিনি নিয়মিত অফিস করেন না। তিনি সপ্তাহে দুই দিন অফিস করেন। বাকী দিন গুলা অনুপস্তিত থাকেন। আবার যে দুই দিন উপস্তিত থাকেন সে দুই দিনের অধিকাংশ কাজও বাসায় বসে করে থাকেন।
এব্যাপার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাজমুল হকের মুঠাফোনে(০১৭১১১১১৭৫৯) একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন ফোন রিসিভ করেননি।
পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ মজিবর রহমান বলেন, নিয়মানুযায়ী লিখিতভাবে ছুটি নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি মৌখিকভাবে আমার কাছ থেকে এক দিনের ছুটি নিয়েছেন। একদিন ছুটি নিয়ে সাত দিন ছুটি কাটায় কীভাব? খঁাজ নিয়ে দখেছি।