ময়মনসিংহের গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সুমন মিয়ার নির্দেশে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান রাশেদের নেতৃত্বে শনিবার দিবাগত রাত উপজেলার শেরপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহৃত টেকনাফ থানার নয়াপাড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আহম্মেদের পুত্র আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এসময় অপহরণকারী শেরপুর গ্রামের মাজহারুল ইসলামের স্ত্রী সুমি আক্তার, বোরহানউদ্দিন থানার দক্ষিণ দালালপুর গ্রামের রাজু আহম্মেদ পুত্র হৃদয় আহম্মেদ ও শেরপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের পুত্র আসাদকে গ্রেফতার করেছে। এসময় অপহরণকারীদের নিকট থেকে একটি চাকু, ৪টি মোবাইল সেট ও ১০হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ধারকৃত অপহৃত আব্দুল্লাহ পুলিশকে জানান, অপহরণকারীরা লবন ব্যবসার জন্য অগ্রীম টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে গত ২রা জুন অপহরণকারী সুমি আক্তার তাকে নান্দাইল থানার নিজ বাড়ি শেরপুর গ্রামে নিয়ে আসে এবং সুমির বাড়ীর একটি রুমের ভিতর আটকিয়ে রেখে অমানবিকভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে এবং মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ৫লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এসময় অপহরণকারীরা আব্দুল্লাহকে বিবস্র করে ভিডিও ধারণ করে। অপহৃত ব্যক্তি প্রাণের ভয়ে তার আত্মীয় স্বজনদের নিকট থেকে অপহরণকারীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকা প্রদান করে। এবিষয়ে নান্দাইল মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কি না পুলিশ তা কথিয়ে দেখছে। উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার নয়াপাড়া গ্রামের সৈয়দ আহম্মেদের পুত্র আব্দুল্লাহ নিখোঁজ হওয়ায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে টেকনাফ থানায় গত ৩রা জুন ২০২৩ইং ১৪৪নং একটি জিডি দায়ের করা হলে বিষয়টি নান্দাইল মডেল থানা পুলিশের নজরে আসলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল মোহাম্মদ সুমন মিয়ার সার্বিক তত্বাবধানে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান রাশেদের নেতৃত্বে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে অপহরণকারীদের কবল থেকে আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে।