প্রবাস প্রজন্মে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব-গুণ ছড়িয়ে দেয়ার সংকল্প পরিচিতি সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধান অতিথি কাজী আব্দুল কাইয়ুম। খবর বাপসনিউজ।
‘জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’র যুক্তরাষ্ট্র শাখার নতুন কমিটির পরিচিতি অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও মুলধারার রাজনীতিক এম এ সালাম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু একজন ব্যক্তি মানুষ নন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বনামধন্য কন্যা, বাইগার নদীর তীরে টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়ে তিনি ছাত্রলীগের কর্মী থেকে ইডেন কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি এবং তারপরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক পরিক্রমায় চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিয়ে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। সালাম উল্লেখ করেন, শুধুই যে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিষয়টি এমন নয়, তিনি আজ বিশ্বের নেতৃত্বের আসনে সমাসীন হয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে আরো কয়েকটি কথা বলতে চাই, তাঁর জীবনাদর্শে, তাঁর রাজনৈতিক দর্শনে দুটি দিক রয়েছে। একটি হলো অভ্যন্তরীনভাবে অর্থাৎ বাংলাদেশকে নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভাবনা, এখানে উপস্থাপক পদ্মা সেতুর কথা বলেছেন, মেট্ররেলের কথা বলেছেন, সামগ্রিক উন্নয়নের কথা বলেছেন, আমি এর সঙ্গে যোগ করতে চাই, জননেত্রী শেখ হাসিনার নিজের থেকেই আমি শুনেছি, যেহেতু আমি তারই হাতে গড়া একজন রাজনৈতিক কর্মী, আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি,হয়তোবা আমি সেভাবে আত্মস্থ করতে পারিনি, নেত্রীর যে পলিটিক্যাল লেসন, তার যে স্ট্যান্ডার্ড, তার যে ডিগনিটি,সেই লেবেলে নিজকে পরিচালিত করার ক্ষমতা আমার না থাকার কারণে হয়তো কিছুটা অনুধাবন করা সম্ভব হয়নি, তবে আমি তার আশ্রায়ন প্রকল্পের একজন ঘনিষ্ঠ ভক্ত। কারণ তিনি যখন কারাগারে ছিলেন তখোন এই আশ্রায়ন প্রকল্প কীভাবে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা যায়-তা নিয়ে চিন্তা করেছেন। আমি তার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের জন্যে গৌরববোধ করি। এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এক অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে। সালাম বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা তার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পলিনত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর নেতৃত্বে সকল প্রবাসীকে একিভূত করার ক্ষেত্রে এই পরিষদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি।
হোস্ট সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পান্নু সরদার এবং রেজওয়ানা ইলভিসের সঞ্চালনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এম আলী হোসেনের সভাপতিত্বে নিউইয়র্কে গত ২৭ মে শনিবার সন্ধ্যায় অনাড়ম্বর এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী আব্দুল কাইয়ুম কামাল। কাজী কাইয়ুম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূর প্রসারি নেতৃত্বে বাঙালিরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এটা আমাদের সকলের জন্যেই সৌভাগ্যের যে, জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতা পেয়েছি আমরা, যার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।
তিনি তার দীর্ঘ গবেষণা এবং পর্যবেক্ষণমূলক বক্তব্যে শেখ হাসিনার দেশপ্রেমের গভীরতায় নানা প্রতিকূলতা সত্বেও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনার পথে কীভাবে বাংলাদেশ এগুচ্ছে-তা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি,যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মমতাজ শাহনাজ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সবিতা দাস, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জেড চৌধুরী জয়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমেদ মজুমদার প্রমুখ। বক্তারা বর্তমান বাংলাদেশের আলোকপাতকালে বলেন, অবিশ্বাস্য রকমভাবে উন্নতি ঘটেছে এবং তা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বে। উন্নয়নের এই অবিস্মরণীয় অভিযাত্রার তথ্য প্রবাস প্রজন্মকে জানাতে নবগঠিত এই সংগঠনের গুরুত্ব অপরিসীম।
বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান সবিতা দাসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর আরো দুটি দেশের গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। সঙ্গীতে অংশ নেয়া ছোট্টমণিদের হাতে ছিল বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত পোস্টার-প্লেকার্ড। শিল্পীরা ছিলেন সীমু পুরকায়স্থ, কানিজ আয়েশা, করুণা রায়, কৃষ্ণা নাথ, রুনা রায়, সবিতা দাস, রুবাইয়া শবনম প্রিয়া, পলাশ নন্দী, সুজয় ভৌমিক, প্রিনা নন্দী, মিতা ঘোষ, রুমা সাহা, ফারজীণ আহমেদ স্বর্না, শম্পা সেন, স্বর্নলতা বাড়ৈ, লিপি দেবনাথ, আগামী পৃথ্বীরাজ সেন, রূপন্তী সাহা, পপি পাল, জয়া দাস, অর্ক এবং অধরা। তবলায় সঙ্গত করেন তপন মোদক এবং মন্দিরায় ছিলেন সুজয় ঘোষ।
বিপুল করতালির মধ্যে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’র যুক্তরাষ্ট্র শাখার কর্মকর্তাগণকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় লাল গোলাপ শুভেচ্ছার মধ্যদিয়ে। ৩ বছরের জন্যে অনুমোদিত কমিটির কর্মকর্তারা হলেন : সভাপতি-বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন, সাধারণ সম্পাদক-শফি মাহমুদ পান্নু সরদার ,সহ-সভাপতি-সরদার হেলালউদ্দিন, মোহাম্মদ রহমান, যুগ্ম সম্পাদক-উত্তম দে, মাহবুব আলম, মোহাম্মদ কবির এবং রফিকুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক-ইলিয়াস আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক-হাবিবুর রহমান, সজিব খান, আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক-সেতু চক্রবর্তী, দপ্তর সম্পাদক-কিউ জামান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক-সবিতা দাস, অর্থ সম্পাদক-সোহরাব হোসেন, মহিলা সম্পাদিক-নুরুন আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক-আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক-আবুল হাসান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক-নাজিউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক-আমির হোসেন বাবুল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক-রায়হান শাকিল, শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক-নজরুল ইসলাম, শ্রম-জনশক্তি ও ইমিগ্রেশন বিষয়ক সম্পাদক-মো. ইসমাইল এবাদত প্রমুখ।