ফরিদপুর সদর ১১নং গেরদা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ জিলুর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী নানান অভিযোগ তুলে ধরেছেন।ভোটার আইডি কার্ডের বয়স বারানো কোমানো, নাম সংশোধনী, জন্ম তারিখ, জন্মমৃত্যু নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, ভাতা পাইয়ে দেয়ার নাম করে
বিপুল পরিমানের অতিরিক্ত অর্থ নেয়া, মাদক জুয়ারীদেন মদতদাতা,শালিস বানিজ্য,সহ নানান অভিযোগ।
এলাকাবাসী জানায়, দুইবারে ইউপি সদস্য শেখ জিলু, প্রথম বার নির্বাচিত হওয়ার কারনে তার ছোট ছোট অন্যায় অনিয়ম গুলো এলাকাবাসী গুরুত্ব দিতোনা। তবে ১৬ই মার্চ ২০২৩ এর নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই ইউপি সদস্য শেক জিলু।
এলাকার নিরীহ জন সাধারন ইউনিয়ন পরিষদের নানান জটিলতা না বোঝার কারনে জিলু শেখের কাছে আসলে তারি ফায়দা লুভে নেন তিনি।শুধু তাই নয় বর্তমান তিনি মাদক জুয়ারীদের মদতদাতা হিসাবে কাজ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এলাকাবীর সূত্রে আরো জানা যায়,ফরিদপুর সদর ২৬,২৭নং ওয়ার্ড ও গেরদা ইউনিয়নের কাফুরা, বিলমামুদপুর
(মল্লিক ডাঙ্গী) বোকাইল, এবং বাখুন্ড গ্রামের কিছু স্থান রয়েছে, যেখানে দিন আর রাত নেই এই সব স্থানে মাদক বেচাকেনা,সেবন করা সহ জোয়ার আড্ডা সর্বদা চলতেই থাকে। আইন প্রশাসন অভিযান করে তাদের আটক করলে জিলুসহ এই সব এলাকার প্রতিনিধিরা মাদক ব্যবসায়ী জুয়ারীদের আইনের লোকের কাছ থেকে ছাড়িয়ে রাখার রাখে।পরে এর সাথে জড়িত ব্যাক্তিরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে।
এই বিষয়ে ইউপি সদস্য শেখ জিলুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার
বিরুদ্বে যারা অভিযোগ দিয়েছে সেটা সঠিক না,জনগন আমার কাছে তাদের সমস্যার জন্য আসে, আমি একজন ইউপি সদস্য হিসাবে যতটুকু পারি তাদের সহযোগিতা করি। আর কাজ করতে গেলে টাকা পয়সা তো খরচ হবেই।
যেটুকু দরকার আমি সেই টুকু নিয়ে থাকি।
মাদক ও জুয়ারীদের আটক করা হলে কেউ আমাকে অবগত করলে সেখানে যেতে হয়,
তখন প্রশানের সাথে কথা বলে ছাড়িয়ে রাখি কারন এরা সবাই আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ এমার হক বলেন, মাদকের সাথে আমি বা আমার ইউনিয়নের কেউ জড়িত থাকলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমার কোন ইউপি এর সাথে জড়িত থাকলে আমি এর ব্যবস্থা নিবো। যে ব্যাক্তি হক না কেন মাদকের জন্য কোন সুপারিশ নেই।