মানসিক নির্যাতন, অত্যাচার এবং সঠিকভাবে ভরনপোষন না দেওয়ার অভিযোগে গাজীপুরের বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন স্ত্রী কাজী রাজিয়া সুলতানা জয়ী।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখ জাহাঙ্গীরের স্ত্রী কর্তৃক তালাকের ওই নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বলা হয়েছে, ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন ৮নং অধ্যাদেশ, ৫২ নং আইন এর ৭(১) ধারায় সম্পর্কের বিষয়টি অবহিত করা হলো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের পারিবারিক ও মানুষিক সম্পর্কের উন্নতি না হলে ৯০ দিন পর চূড়ান্তভাবে তালাক কার্যকর হবে।
নোটিশে আরো দেখা যায়, ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুরের বাসিন্দা কাজী ইকবাল বাহারের মেয়ে কাজী রাজিয়া সুলতানা জয়ীর সঙ্গে গাজীপুরের বাসিন্দা আলহাজ্ব মিজানুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রীকে মানসিক নির্যাতন ও অত্যাচার করায়, নিয়মিত প্রয়োজনীয় ভরনপোষন না দেওয়ায়, সংসার জীবনে অশান্তি শুরু হয়।
তালাকের এই নোটিশের অনুলিপি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র এবং মিরপুর শাহআলীর কাজী অফিসে পাঠানো হয়।
এদিকে গত সন্ধ্যায় গাজীপুরের বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আজীবনের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে রোববার (১৪ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে প্রথমে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ওই দিনই তাকে মেয়র পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয়।
চলমান গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা চেয়েও না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে গিয়ে ঋণ খেলাপির অভিযোগে নিজের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হলে নিজ মাকে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী( দেয়াল ঘড়ি মার্কা) হিসেবে নির্বাচন করে যাচ্ছেন এই সাবেক মেয়র।
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করায় দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।