সময়ের নানা সীমাবদ্ধতাকে জয় করে নারীদের এগিয়ে চলার গল্প নিয়ে আউয়াল চৌধুরী নির্মাণ করছেন সিনেমা ‘আগুনের পাখি’।এই সিনেমার মূল বিষয় নারী। নারীর আত্মমর্যাদা আত্মশক্তি জাগরণের কাহিনিচিত্র এটি।পাশাপাশি উঠে এসেছে সমাজের প্রচলিত কিছু ট্যাবু। ধর্মীয় কুসংস্কার। শুভ শক্তির সাথে অশুভ শক্তির চিরায়ত লড়াই। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। যে চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত হয় ফিনিক্সের মতো, যার মৃত্যু নেই। এই সিনেমায় অভিনয় করছেন আফফান মিতুল। সম্প্রতি রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় অভিনেতা আফফান মিতুল, অভিনেত্রী লাবণ্য চৌধুরী ও রমিজ রাজুকে সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ করানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক সহ অন্যান্য কলাকুশলীরা। সিনেমায় তিনটি জেনারেশন দেখানো হবে, সেখানে শেষ জেনারেশনে আফফান মিতুল আর লাবণ্য জুটিবদ্ধ হয়েছেন।‘আগুনের পাখি’চলচ্চিত্রে প্রধান কয়েকটি চরিত্রে আরও অভিনয় করবেন জ্যোতিকা জ্যোতি, ইমতিয়াজ বর্ষণ, মেঘলা মুক্তা, শতাব্দী ওয়াদুদ প্রমুখ।
পরিচালক আউয়াল চৌধুরীর প্রথম চলচ্চিত্র ‘জনম জনম’ মুক্তি পায় ১৯৯৬ সালে, অভিনয় করেছিলেন শাবনাজ ও আমিন খান। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার একটি গ্রামে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আগুনের পাখি’ নির্মাণে হাত দিয়েছেন। যার ইংরেজী নাম : PHOENIX NEVER DIES. চলচ্চিত্রটির কাহিনি ও চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন তিনি নিজেই। চলচ্চিত্রটির প্রি প্রডাকশনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯ এ শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের গৌরব অর্জিত ‘যা ছিলো অন্ধকারে’ র নির্মাতা আউয়াল চৌধুরী “আগুনের পাখি” সিনেমার শুটিং শুরু করবেন ময়মনসিংহে চলতি বছরের আগস্ট থেকে।
আগুনের পাখি প্রসঙ্গে আফফান মিতুল বলেন, এই সিনেমায় তিন জেনারেশনকে দেখানো হবে।সবার পরের জেনারেশনটা হচ্ছে আমার চরিত্রটা। আমার চরিত্রের নাম শ্যামল। শ্যামল অনেকটা দুস্টু প্রকৃতির অনেক ছটফটে। সে একটি মেয়ের প্রতি খুব দুর্বল হয়ে পরে। মেয়েটি তাকে পছন্দ করেনা। কিভাবে ধীরে ধীরে একটা এন্টাগনিস্ট চরিত্র থেকে প্রোটাগনিস্ট হয়ে যায় এটাই দেখানো হয়েছে আমার চরিত্রে। ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার একটি গ্রামে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা নিয়েই ‘আগুনের পাখি’ সিনেমার গল্প।গল্পটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আউয়াল স্যারের এই ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হতে পেরে আমি নিজেও আনন্দিত ।
বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে আফফান মিতুল অভিনীত মির্জা সাখাওয়াত হোসেন পরিচালিত ‘হরিজন’ এবং মাসুদ পথিক পরিচালিত ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ চলচ্চিত্র দুটি মুক্তি পায়। দুটি চলচ্চিত্রই আলোচিত হয়। এতে মিতুলের চরিত্রও প্রশংসিত হয়। এছাড়াও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে মিতুলের ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ এবং ‘গন্তব্য’ নামের সিনেমা।সর্বশেষ এই ঈদে আফফান মিতুল অভিনীত ‘আদম’ সিনেমাটি মুক্তি পায়।এছাড়া সম্প্রতি আফফান মিতুল শেষ করেছেন জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ‘ময়না’ সিনেমার শুটিং। যেখানে মিতুল অভিনয় করেছেন রকস্টার চরিত্রে এতে তার সহশিল্পী রাজ রিপা। তাছাড়াও শুটিং চলছে ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ নামের একটি সিনেমার। এতে তার বিপরীতে রয়েছেন জান্নাত আফরিন। রনি ফিল্মস ইন্টারন্যাশনাল প্রযোজিত এই সিনেমাটি পরিচালনা করছেন সায়মন তারিক। মুক্তির মিছিলে রয়েছে আরো এক ডজন চলচ্চিত্র।