সাভারে বিরুলিয়া ইউনিয়ন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান সেলিম মন্ডলের চাচাতো ভাই রুবেল মন্ডল ও প্রভাবশালী নেতার শালা আব্দুল আলীম সোহাগ (সুলতান)।
সাভারে প্রাণকেন্দ্রে সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিরুলিয়া-আক্রাইন সড়কে যানবাহন চাঁদাবাজি সহ সবকিছুই তার একক নিয়ন্ত্রণে। তার ক্ষমতার কাছে সবাই ধরাশায়ী। তার ইচ্ছার বাইরে গেলেই চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ।অনেকের মতে বিরুলিয়া-আক্রাইন সড়কে ‘অঘোষিত রুবেল মন্ডল ও প্রভাবশালী নেতার শালা আব্দুল আলীম সোহাগ (সুলতান) । তার কথাই সেখানে আইন, তিনিই সর্বেসর্বা। বিরুলিয়া-আক্রাইন সড়কে যানবাহন ও ফুটপাত থেকে শুরু করে দোকানে চাঁদাবাজি করে তার বাহিনী।
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় চার কিলোমিটার সড়কটিতে অন্তত ৮০০-১২০০ অটোরিকশা চলাচল করে। এসব একেকটি রিকশা থেকে দিনপ্রতি ১০ টাকা করে তোলা হয়। টাকা তোলার জন্য দুই স্টপেজে ৪ জন কর্মী কাজ করে। তারা টাকা নিয়ে মার্কার কলম দিয়ে অটোরিকশা চিহ্নিত করে দেয়। এছাড়া সড়কের ওপরে থাকা হালিম, চটপটি ও চায়ের দোকান থেকে দিনপ্রতি নেওয়া হয় ১০০-২০০ টাকা করে।
অটোরিকশার একাধিক চালক এ চাঁদা দেওয়ার কথা জানান। তবে তারা কি কারণে চাঁদা দিচ্ছেন তা জানেন না। এমনকি চাঁদা দিয়ে কোনো রসিদও পাননি বলে জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটোরিকশা চালক বলেন, ‘আগে তো চাঁদা নিত না। এখন নিতেছে। টাকা না দিলে সমস্যা করবো। তাই দিতাছি।’
আরেক চা দোকানদার বলেন, ‘সোহেল রাজ রানার (ন্যাংড়া সোহেল)ও রুবেল মণ্ডলের লোকেরা চাঁদা তুলছে। না দিলে ঝামেলা করে। তাই টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছি।’
সাভারে তাদের একক আধিপত্য। কাউকেই তোয়াক্কা করেন না। বিরুলিয়া ইউনিয়নের যত কাজ আছে, সবগুলোই সেলিম মন্ডলের নিয়ন্ত্রণে। এখান থেকে প্রতি মাসে কামাই কোটি কোটি টাকা।
এভাবে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান সেলিম মন্ডলের চাচাতো ভাই রুবেল মন্ডল ও প্রভাবশালী নেতার শালা আব্দুল আলীম সোহাগ (সুলতান) নিজ নিজ এলাকায় একক আধিপত্য নিয়ন্ত্রণ করেছেন। নিজ এলাকায় নিজেকে ‘অঘোষিত রাজা’ মনে করেন তারা। অনেকেই স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন।যেন তারাই সর্বেসর্বা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাভার পৌরসভা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল মণ্ডল বলেন, ‘এটা হচ্ছে ইজারাদার নিয়েছে আব্দুল আলীম সোহাগ ওরফে সুলতান ভাই। আমার দায়িত্ব হচ্ছে দেখাশোনা করা।’
এ বিষয় আব্দুল আলীম সোহাগের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এখান থেকে কোনো ইজারা পাইনি। চাঁদা বাজি করার তো প্রশ্নই উঠে না। আমার নাম যারা ব্যবহার করে এগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো৷ এ ছাড়াও আমাদের পুলিশের টহল দল আছে, তাদের সামনে বিষয়টি পরলে তারা চাঁদাবাজদের আটক করবে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয় টা আমার জানা নেই। তবে আমরা সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নিবো।