ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।জানা যায়, একটি সচল আগ্নেয়াস্ত্রের সাথে তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।উক্ত বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ।
সোমবার ৮ মে ২০২৩ দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার কার্যালয় কনফারেন্স এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সে সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গেল শনিবার ৬মে ২০২৩ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৪ নং বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ দুয়ারী জিয়াবাড়ি এলাকার মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে সবুর হাসান ওরফে জুলুন (২৬) এর কাছ থেকে ১৩০ বোতল মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল,তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এবং এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই নিরস্ত্র জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা দায়ের করেন।আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে আরও নতুন তথ্য
সবুর হাসান অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেন।তার তথ্য মতে আবার অভিযান চালিয়ে বালিয়াডাঙ্গির রতন দিঘী গ্রামের ইসরাইল ওরফে পানিপথের ছেলে রাকিব হাসান ওরফে লতিফ ওরফে ফুচকুন(২৬) কে গ্রেফতার করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে রাকিব তথ্য দেয় যে তার কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র আছে ও আগ্নেয়াস্ত্রটি তার আপন চাচাতো ভাই বালিয়াডাঙ্গির রতন দিঘী গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে রানা মিস্টার (৩৫) এর কাছে রাখা আছে। তার তথ্য মোতাবেক অভিযান চালিয়ে রানা মিস্টারকে তার নিজ বাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়। সেখানে চটের ব্যাগের ভেতরে রক্ষিত শপিং ব্যাগ দ্বারা প্যাচানো অবস্থায় ট্রিগার, ফায়ারিং পিন ও ব্যারেল সংযুক্ত একটি সচল আগ্নেয়াস্ত্র, ওয়ান সুটার গান ও একটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই নবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গি থানায় সোমবার (৮ মে) আরো একটি আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-ক ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।সে সময় উপস্থিত ছিলেন,ওসি (ডিবি) আনোয়ারুল ইসলাম,ওসি (ডিএসবি) আব্দুল মতিন প্রধানসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা,জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।