টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক কিশোরীকে প্রেমিকের সন্ধান দেওয়ার নামে অপহরণ করে দু’দফায় সংঘবন্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ভিকটিমের থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪ ঘন্টার মধ্যে মধুপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সংঘবন্ধ দলের ৪ সদস্যকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো- টাঙ্গাইলের মধুপুরের কাইলাকুড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৮), বাঘাডোবা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সজিব (২৮), জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের আঃ ছামাদের ছেলে মামুন (২৬) ও রশিদপুর ভাটিপাড়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩০)।
পুলিশ জানায়, ৫ মে শুক্রবার জামালপুরের রশিদপুর থেকে এক কিশোরী (১৬) কে তার প্রেমিক নাজমুলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে টাঙ্গাইলের মধুপুরের কাইলাকুড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৮) ও বাঘাডোবা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সজিব (২৮) প্রতারণা পূর্বক অপহরণ করে। হাফিজুর রহমান ও সজিব তারা ঐ কিশোরীর প্রেমিকের সম্পর্কে চাচাত ভাই। প্রেমিক নাজমুল (২০) একই ইউনিয়নের বাঘাডোবা গ্রামের মোস্তফার ছেলে।
এই দুই যুবক প্রতারণা করে ঐদিন বিকেল ৫ টার সময় মধুপুরের চাঁদপুর রাবার বাগান এলাকার কালারপাহাড়ে গহীন অরণ্যে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে আবার রশিদপুর চৌরাস্থায় ছেড়ে দেয়।
একই দিন ঐ ভিকটিম অটোযোগে জামালপুরের দিকপাইত যাওয়ার সময় অটো স্ট্যান্ডের লাইনম্যান (মাষ্টার) রশিদপুর গ্রামের আঃ ছামাদের ছেলে মামুন (২৬) ভিকটিম কে সহায়তা করার নামে ঐ রাতেই আনুমানিক সাড়ে আটার সময় সর্দার বাড়ী গ্রামের খালপাড়ে ধানক্ষেতে নিয়ে রশিদপুর ভাটিপাড়া গ্রামের রুহল আমিনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩০) কে সঙ্গে নিয়ে ভিকটিমকে পুনঃ দলবদ্ধ ধর্ষণ করে আবার রশিদপুর চৌরাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের প্রেমিক তাকে খুঁজতে এসে রশিদপুর চৌরাস্তায় অসুস্থ অবস্থায় উদ্বার করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের স্মরণাপন্ন হলে চেয়ারম্যান বিষয়টি মধুপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাজহারুল আমিন বিপিএম তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে অফিসার ফোর্স ঘটনাস্থলে প্রেরণ করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেন। ভিকটিম মধুপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দিলে অফিসার ইনচার্জ মামলা রুজু করে।
এ সব তথ্য পুলিশের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
পরে মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় আসামীদের মামলা রুজুর ৪ ঘন্টার মধ্যে ৪জনকে গ্রেফতার করে। গতকাল শনিবার (৬ মে) আদালতে প্রেরণ করলে। আসামি সজিব আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে পুলিশ জানায়।
ভিকটিম কে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য টাংগাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিম বর্তমানে ঐ হাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, ভিকটিমের বাড়ী সাতক্ষীরা জেলায়। সে শেরপুরে চাকুরি করে বলে জানায়।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বিপিএম সাংবাদিকদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। ভিকটিম ডাক্তারি পরীক্ষার শেষে চিৎকিসাধীন রয়েছে।