গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ছিনতাইকারী দলের তিন সদস্য গ্রেপ্তার সহ মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুবাইল থানা পুলিশ। রবিবার (২৪এপ্রিল) রাতে পূবাইল থানাধীন কলেজ গেইট এলাকায় জনতার হাতে আটক হওয়া দুইজন ও বসগাঁও গজারিয়ার টেক হতে ১জনকে গ্রেপ্তার করে পুবাইল থানার চৌকস সাব ইন্সপেক্টর মাহবুব হোসেন।অপর এক জন পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে পুবাইল থানায় একটি ছিনতাই মামলা হয়েছে যার মামলা নং ৭
মামলার বাদী গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনুস আলী জানান, আমি স্থানীয় এ এন্ড এ পোশাক কারখানায় চাকুরী করি। রবিবার দুপুরে বেতনের কিছু টাকা বিকাশ করে ফেরার পথে রেল দিয়ে হেটে কিছুদূর যাওয়ার পর কয়েকজন লোক আমাকে ঘিরে ফেলে এবং আমার সাথে থাকা একটি VIVO y 21 মোবাইল ফোন ও নগদ সঙ্গে থাকা বেতনের ৭০০০ টাকা জোর পূর্বক নিয়ে নেয়। ইউনুস আলী স্থানীয় কলেজ গেট এলাকার আমানুল্লাহর বাড়ীতে ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। তার গ্রাম সিন্দুর মতি থানা ও জেলা লালমনিরহাট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ফয়সাল ছিনতাই, নারী ও মাদকের সাথে সম্পৃক্ত। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে একাধিক ছিনতাই এর বিচার হয়েছে, কোনভাবে পার পেয়ে সে আবার এই কাজে জড়িয়ে পড়ে। এতে রাতে বা দিনে আমরা কেউ নিরাপদ নই।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, ১। ফয়সাল হোসেন (২৪) পিতা সুরুজ মিয়া, গ্রাম ৪১ নং ওয়ার্ড বসুগাও গজারিয়া টেক, থানা পূবাইল জেলা গাজীপুর মহানগর। ২। ইয়াসিন আরাফাত (২০) পিতা হাবিবুর রহমান হাবিব, তিনি গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল ৪১ নং ওয়ার্ডের কলেজপাড়া এলাকার কাজির বাড়ির ভাড়াটি। ৩। হোসেন শরীফ (১৯) পিতা জাফর শরীফ, তিনি বর্তমান গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানাধীন ৪১ নং ওয়ার্ড কলেজ গেট এলাকার বজলুর শেখের বাড়ির ভাড়াটিয়া। ৪। বিশাল (২২) তিনি গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল ৪১ নং ওয়ার্ড বসুগাঁও পূর্বপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
পুবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে তারা ছিনতাইকারী দলের সদস্য প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনে মামলা করে ইতিমধ্যে গাজীপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান।