সাভারের গেন্ডা পাইকারি কাঁচাবাজারের জন্য বিখ্যাত একটি এলাকা। তবে সেখানকার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ তুলেছেন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত একটি বাজারের সামনে কুলিবিট ইজারা দিয়েছে সাভার পৌরসভা।
আইন অমান্য করে মহাসড়কে গাড়ি পার্কিং করে কোন ধরনের মালামাল লোড-আনলোড করার কোন নিয়ম না থাকলেও ব্যবসায়ীদেরকে বেকায়দায় ফেলা হয়েছে বিধায় এ মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মোটা অংকের টাকা কুলিবিটের ইজারা বাবদ দিয়ে আসছিলো মোহাম্মদীয়া কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু সরকারি নির্দেশনার বিষয়ে জানার পর উক্ত ব্যাবসায়ীরা তাদের বাজারে কুলিবিট প্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। তারা কোনো প্রকার ইজারার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
রাজাবাড়ি মোহাম্মদিয়া সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা এত সময় ধরে কুলিবিটের ইজারার টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে ব্যাবসায়ীকভাবে বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
কিছুদিন আগে জানতে পেরেছি মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কোন স্থানে কুলিবিট হবার সুযোগ নেই। তাই আমরা সকল ব্যবসায়ীরা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজ থেকে আমরা আর কোন কুলিবিটের ইজারার টাকা প্রদান করবোনা। এবং আমাদের বাজারের সামনের অবস্থিত কুলিবিট বিলুপ্ত ঘোষণা করেছি।
এ বিষয়ে সাভার পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রব বলেন, আমরা পৌর কর্তৃপক্ষ সড়কের পাশে কোনো ধরনের কুলিবিট ইজারা দেইনি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বাজারের ভেতরেই মাল লোড-আনলোডের জায়গা থাকতে হবে। সুতরাং আমাদের ইজারা দেয়া কুলিবিটের স্থান কোনভাবেই মহাসড়কের পাশে অবস্থিত নয়।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকা থেকে রেডিও কলোনী পর্যন্ত রাস্তার পাশে পার্কিং করে কোন ধরনের মালামাল লোড আনলোড করা যাবেনা। এ ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে আইনি নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে।