পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় এক শিক্ষার্থীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃত শিক্ষার্থী মীম আক্তার (১৩) উপজেলার ৮নং মদনপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম মদনপুরা গ্রামের শহিদুল দেওয়ানের মেয়ে। তিনি সোনামুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
০৯.০৪.২৩ইং তারিখ রোজ রবিবার সকালে মদনপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম মদনপুরা গ্রামের দেওয়ান বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারণা করছে পুলিশ।
মৃত শিক্ষার্থীর মা বলেন, বাসায় আমি আর আমার মেয়ে থাকতাম। আমার মেয়ে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বলে তার কিছু ভালো লাগছে না। চোখে ঝাপসা দেখছি৷ এরপরে আমি ওর সাথে কিছুক্ষণ গল্প করি। আনুমানিক সকাল সারে ৯ টার দিকে আমি বিকাশের টাকা উত্তোলনের জন্য বাজারে যাই। বাসায় ফিরে দেখি দরজা আটকানো। প্রথমে ভেবেছিলাম আমার মেয়ে কোরআন শরিফ পড়ছে। আমি বিকল্প উপায়ে রুমে ঢুকতেই দেখি আমার মেয়ে একটি চঙ্গার সাথে ঝুলছে, গলায় ওড়না জড়ানো। এতোটুকু হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি।
সহপাঠীরা জানান, মীম খুব শান্ত স্বভাবের মেয়ে ছিলো। তার সাথে কারো ঝগড়া বিবাদ ছিলো না। কেনো সে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলো, বিষয়টা কেউ বুঝতে পারছি না।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটি এম আরিচুল হক বলেন, এটি একটি অপমৃত্যুর ঘটনা। এ বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।