পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায় টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যে নাটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুরাদিয়া বশিরিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম।
০১.০৪.২৩ইং তারিখ রোজ শনিবার সকালে প্রেসক্লাব দুমকির হলরুমে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই স্কুল শিক্ষক অভিযোগ করে জানান, তাদের একই বাড়ির বাসিন্দা জাফর মীরার মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা প্রতিবন্ধী আফসানা বেগম(৩৫) সম্পর্কে আমার বাড়ির ওপরের ভাতিঝি। গত দু’বছর আগে তার কাছে আমি জমি পাট্টা দিয়ে ছিলাম। সে মোতাবেক তাকে সেই জমি ভোগদখল করতেছিল।গত বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে ছেলের অসুস্থতার কথা বলে আমার পাট্টাকৃত জমির টাকা ফেরত চায়। মাসের শেষ বলে তাকে টাকা দিতে না পারার কারনে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। এসময় সাবেক ইউপি সদস্য রেজা ও পাড়াপ্রতিবেশি উপস্থিত ছিলেন। পরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আমার শত্রুপক্ষের ইশারায় আমাকে ঘায়েল করতে ঠোঁট-মুখ ফাটিয়ে মিথ্যা-কাল্পনিক নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন মহলে যৌন হেনস্তার অপবাদ দিয়ে আসছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আমিনুল ইসলাম আরও জানান, আফসানা স্বামী পরিত্যাক্তা ও পরিবারে ২/৩ জন প্রতিবন্ধী হওয়াতে সকলের মানবিক সহায়তা পেতে পেতে এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এলাকায় খারাপ মেয়ে হিসেবে পরিচিত আফসানা যে কোন সময় যে কারো বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য/ঘটনা ঘটাতে পারে।
অভিযোগটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলছেন স্কুল শিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ নারগীছ আক্তার (নাছরিন)।
সমাজের কাছে বিচার চেয়ে তিনি বলেন, আমার স্বামীর চরিত্র সম্পর্কে আমি ভালো জানি। আমার স্বামী একজন স্কুল শিক্ষক, দেশ গড়ার কারিগর। সে কোন ধর্ষক নয়। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সত্য ঘটনা প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছি।
স্বামী পরিত্যাক্তা প্রতিবন্ধী আফসানা বেগম জানান, আপনারা তদন্ত করেন। সে(আমিনুল মাস্টার) আমার বোনেরও ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে তার স্বামীকে বিদেশ নিবে বলে। আমার মায়ের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা নিয়েছে এবং আমার কাছে জমি পাট্টা দিয়েছে। তা ফেরত নিয়ে টাকা চাইতে গেলে আমাকে এসব নির্যাতন চালায়।
এছাড়াও তিনি বলেন, পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে আমিনুল মাস্টার আমাকে ঘরের পেছনে টেনে হিছড়ে উঠিয়ে ঠোঁটেকামড় দিয়েছে এবং বিভিন্ন অঙ্গে হাত দিয়েছে।
প্রতক্ষদর্শী শাহনাজ জানান, ওই দিন আফসানা টাকা চেয়ে ঘরের পেছনের দরজায় কান্নাকাটি করেছে এবং আমিনুলকে গালাগালি করেছে। আমিনুল ছিল ঘরের ভেতরে।
বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য আছে উল্লেখ করে মুরাদিয়া ইউপি সদস্য ফোরকান হোসেন বলেন, পূর্ব বিরোধ ও সম্প্রতি টাকা পয়সা লেনদেন নিয়েই এখন এসব কথাবার্তার সৃষ্টি হয়েছে। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা।
যৌন হেনস্থার বিষয়ে মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান শিকদার বলেন, আমার মনে হয় এটা সঠিক নয়। তবে তারা (আফসানার পরিবার) টাকা পাবে দাবি করে কিন্তু মাষ্টারের পরিবার বলে পাবে না।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশার সাংবাদিককে বলেন, যৌন নির্যাতনের বিষয়ে কোন অভিযোগ নেই। তবে মারধরের অভিযোগ রয়েছে।