ধামইরহাট (নওগাঁ)প্রতিনিধি:
নওগাঁর ধামইরহাটে দলবদ্ধ ভাবে প্রতিবেশীকে পিটিয়ে জখম। উপজেলার মালাহার গ্রামের প্রতিবেশী মোছাঃ আকলিমা আক্তার কে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।সোমবার (১৩ মার্চ) থানায় হাজির হয়ে মোছাঃ আকলিমা আক্তার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
থানায় অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,ধামইরহাট উপজেলা সদর পৌরসভার মালাহার গ্রামের বাসিন্দা। মোছাঃ আকলিমা আক্তার রাত্রিতে প্রতিদিনের মত শুয়ে পড়েন (১২ মার্চ) রাত আনুমানিক ১২.৩০টার দিকে ঘরের বাইরে এলে বসতবাড়ির প্রাচীরে বিবাদীআমিনুলকে বাড়িতে প্রবেশ কালে বিদ্যুৎতের আলোতে দেখতে পায়।চিৎকার চেঁচামেচিতে তাৎক্ষণিক লাফিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি আকলিমা আক্তার ও স্বামী আইনুল ইসলাম বাড়ির নিকটস্থ পৌরসভা প্যানেল মেয়র মোছাঃ শাহনাজ বেগমকে জানান।
এর জের ধরে (১৩ মার্চ) সকল আনুমানিক সকাল ৭.৩০ টার দিকে মোঃ মমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোছাঃ শিরিনা বেগম, পিতা জাইদুল ইসলাম এর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম এবং সেই সাথে নার্গিসসহ রাতের জের জোটবদ্ধ হয়ে মোছাঃ আকলিমা আক্তার ও আইনুল এর উপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আকলিমা আক্তারকে আহত করে।পরবর্তীতে ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন মোছাঃ আকলিমা আক্তার।
জোরপূর্বক বাসায় ঢুকে টাকাসহ সোনা গহনা হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়।স্থানীয় লোকজন তাদের চিৎকারে হাজির হলে আসামীরা প্যানেল মেয়র মোছাঃ শাহনাজ বেগম,পলাশ হোসেন ও আতিয়ার রহমান সর্বসং মালাহার তাদের সামনে মোছাঃ আকলিমা আক্তার ও স্বামী আইনুলদের বড় ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।উক্ত বিষয়ে আকলিমা আক্তার হুমকিদাতার শাস্তির দাবি ও তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
প্যানেল মেয়র মোছাঃ শাহনাজ বেগম সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান রাতের বিষয়টি আমাকে রাতে অবগত করেছে আমি সাবধান করে দিয়েছি সেই সাথে সকালে মারামারির সময় আমি ছিলাম বারবার নিষেধ করেছি আমার কথা শুনে নাই।
এবিষয়ে ধামইরহাট থানা এস আই শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
১৫- মার্চ -২৩