এসএম সামসুজ্জোহা মামুন ও রুস্তম আলী শায়েরঃ
মাদকের সয়লাব বাগমারা, মোহনপুর,পুঠিয়া,মান্দা ও আত্রাই।রাজশাহী জেলার বাগমারা, মোহনপুর, পুঠিয়া ও নওগা জেলার মান্দা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন হাট বাজার এলাকায় মাদকের সয়লাপ হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময়ে সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে, রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা,গোয়ালকান্দী ইউনিয়ন, মারিয়া ইউনিয়ন,গনিপুর ইউনিয়নের মাদারীঞ্জ, মোহনগঞ্জ, হামিরকুৎসা ইউনিয়নের তালঘড়িয়া, কোনাবাড়িয়া, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার পাহাড়পুর এলাকা, ভবানীগঞ্জ বাজার, হাটগাঙ্গপাড়া বাজার, মচমইল বাজার সহ বাগমারার বিভিন্ন এলাকায় মাদকে ছেয়ে গেলেও পুলিশ ও র্যাবের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ বার বার মাদক সম্রাটদের বিরুদ্ধে কাজ না কারার অভিযোগ উঠেছে।মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট বাজার, লালইচ, মোহনপুর বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় মাদকের সয়লাপ। পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন, পুঠিয়া বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় মাদকের সয়লাপ। নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও হাট ঘুরে জানা যায় তেতুলীয়া ইউনিয়নের সাবাইহাট বাজার
এলাকা, পিড়াকৈড় গ্রামে, জয় বাংলা বাজারে, ভাড়শ ইউনিয়নের দলুয়াবাড়ি বাজারে, সতীহাট বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় মাদকে ছেয়ে গেছে। এছাড়া নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে, আত্রাই আহসানগঞ্জ রেলষ্টেশন এলাকা সহ বিভিন্ন বাজারে মাদকে ছয়লাপ করেছে ঔসব এলাকার মানুষ।
পুলিশ দাবী করছে মাদকের ব্যাপারে জিরো ট্রলারেন্স কিন্তু বাস্তবতা মাদকে ছেয়ে গেছে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও নওগাঁ জেলার
বিভিন্ন উপজেলায় মাদকে ছেয়ে গেছে। মাদকসেবীদের দ্বারা যৌন
হয়রানীর শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীরা। কোন কোন ক্ষেত্রে স্কুলের শিক্ষীকারাও যৌন হয়রানীর শিকার হতে হয়। আমাদের দেশের মেয়েরা সাধারণত লাজুক প্রকৃতির হওয়ায় এসকল অভিযোগ উঠে আসেনা।
এ ব্যাপারে তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কাউকের ছাড় দিচ্ছি না, দলিয় লোকজন দেরকেও ছাড় দেওয়া হবেনা বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে তাহেরপুর পৌর অওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন মৃধা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কথা পুলিশ শুনেনা, আমাদের দলের কিছু নেতারা এই মাদক বিক্রেতাদেরকে আশ্রয় দিচ্ছে।এ ব্যাপারে গোয়ালকান্দী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার জানামতে পুলিশ যথেষ্ট পরিমানে কাজ করছে। এ ব্যাপারে আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের কোন নেতা মাদক বিক্রেতাদের আশ্রয় পশ্রয় দিচ্ছে এ ব্যাপারে আমার জানা নেই।মাদকের ব্যাপারে বাগমারা থানার ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাদকের ব্যাপারে ও মাদক বিক্রেতাদের কোন ছাড় নেই, প্রতিদিনি আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি, এ ব্যাপারে আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বড় বড় মাদক সম্রাটেরা যে গ্রেফতার হচ্ছেনা এদের নাম ঠিকানা আমাকে দিলে আমি এদের গ্রেফতার করবো।
এদিকে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষের সাথে সরজমিনে কথা বলে জানাযায়, মাদকসেবন কারীদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছি, আমাদের এলাকায় প্রায় চুরি-চামারী লেগেই আছে। খোদ ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতাদের কারোনে মাদক সম্রাটেরা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে।মাদকের ব্যাপারে র্যাব-০৫ অধিনায়ক লেঃ কর্ণেঃ শাহরিয়ার আলমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ চেষ্টা করলে তিনি কল রিসিভ না করায় কথা বলায় বা তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।