International Mother Language Day
Observance In North America & United Nation.
এমেরিকায় যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য এবং ব্যাপক উতসাহ উদ্দীপনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
—হাকিকুল ইসলাম খোকন,রিমন ইসলাম,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ ২০ ও একুশে ফেব্রুয়ারি এমেরিকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উদযাপিত হয়েছে।
বিশেষ করে নিউইয়র্ক সিটিতে একুশের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন, বাংলাদেশ কন্সুলেট, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন,বাংলাদেশ সোসাইটি নিউইয়র্ক সহ বিভিন্ন রাজনীতিক,সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়ী
সংগঠন যথাযথ মর্যাদায় ৫২র ভাষা আন্দোলনের বীর
শহিদদের প্রতি সম্মান জানায়।
সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিক ও অলিউল্লার প্রতি
সম্মান জানায় বাংলাদেশি এবং বিদেশিরা।
বাংলাদেশ কন্সুলেটএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের
মূলধারার রাজনীতিবিদ এবং স্থানীয় এমেরিকান ও বাংলাদেশিরা যোগ দেন। কন্সাল জেনারেল ডঃ মনিরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে ৫২র ভাষা আন্দোলনের পটভূমি
তুলে ধরেন। জন ল্যু,ডেভিড ওয়েপ্রিন,জ্যাসিকা র্যামোস
ও ব্রুকলিনের কাউন্সিলওমেন বাংলাদেশি এমেরিকান শাহানা হানিফ বক্তব্য দেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন
করে বিপা। বিদেশি শিল্পী আমার ভাইয়ের রক্তে রাংগানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানটি গেয়ে শোনায়।
জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ২১শে ফেব্রুয়ারি সকালে
আলোচনা ও দোয়া করা হয়। ভাষা শহীদদের সম্মানে
পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধি জনাব আব্দুল মুহিত এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
এদিন বিকালে জাতিসংঘ ভবনের ৪ নাম্বার রুমে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট সাবা কোরেশি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত
ছিলেন। বাংলাদেশ, ভারত, মরক্কো, ডেনমার্ক, হাংগেরি
ইস্ট তিমুর এতে অংশগ্রহণ করে। স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল মুহিত ৫২র পটভূমি তুলে ধরেন এবং বক্তব্য দেন।
বিদেশিরা মাতৃভাষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাংগানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানটি
বিদেশি ভাষায় গাওয়া হয়।
২০শে ফেব্রুয়ারি জয় বাংলাদেশ সংগঠনের উদ্দোগে
যথাযথ মর্যাদায় গুলশান টেরেসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়। নাচ,গান, কবিতা আবৃত্তি ও একুশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আলোচনা করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, জয় বাংলাদেশের প্রধান এবং আলেগ্রা হোমকেয়ারের সিইও, মূলধারার রাজনীতিবিদ ও কম্যুনিটি এক্টিভিস্ট ,বীরমুক্তিযোদ্ধা লেখক আবু জাফর মাহমুদ স্বাগত বক্তব্যে ৫২র ভাষা
আন্দোলন গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ভাষা আন্দোলনের
পথ ধরে ৭১এর মুক্তিযুদ্ধ এবং আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেন।
রাত ১২টায় ২১শের প্রথম প্রহরে আবু জাফর মাহমুদের
নেতৃত্বে ভাষা শহীদদের প্রতি পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন অফ নর্থ
এমেরিকা এবং যুক্তরাস্ট্র জাতীয় পার্টির একাংশ পুষ্পমাল্য
অর্পন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
অভিনেতা টনি ডায়েস চমৎকার আবৃত্তি করেন।
বাচ্চাদের নাচ দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায়। জনপ্রিয় গায়ক
এস আই টুটুল শ্রোতাদের গান শুনিয়ে আনন্দ দেন।
উডসাইডের তিব্বতি সেন্টারে বাংলাদেশিদের আমব্রেলা সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করে।
প্রবাশের প্রায় ৩০ টি সংগঠন শহিদদের প্রতি সম্মান জানায়।
বাংলাদেশ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এ রব মিয়া এবং সাধারণ
সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকীর নেতৃ্ত্বে একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয় ভাষা শহীদদের সম্মানে।
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
কুইন্স প্যালেসে ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালন করে। প্রতি বছরের মতো এবারও
ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই বিভিন্ন সংগঠনের সাথে
সম্মিলিতভাবে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উউদযাপন করে।
প্রচন্ড শীতের রাতে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় জেবিবিএ( জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশন)
অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করে।
জেবিবিএর সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদের
নেতৃত্বে একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
অনেকগুলো সংগঠন জেবিবিএর সাথে সম্মিলিত একুশ
উদযাপন করে। জ্যাকসন হাইটস ফ্রেন্ড সোসাইটির
সভাপতি লিটু চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর
মোর্শেদের নেতৃত্বে আমার ভাইয়ের রক্তে রাংগানো একুশে
ফেব্রুয়ারি গানের সুরে শহীদদের সম্মানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
ওয়াশিংটন বাংলাদেশ এম্বেসিতে যথাযথ মর্যাদায়
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়।
রাস্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে
গুরুত্ব ও পটভূমি তুলে ধরেন তার বক্তব্যে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর শেষে, একুশের প্রথম প্রহরে ৫২র শহীদদের
প্রতি পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন
করা হয়।
এছাড়াও উত্তর এমেরিকা এবং ক্যানাডার বিভিন্ন সংগঠন
দিনটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করে।