মাদকের বেচাকেনা চলছে এমন খবরে গভীর রাতে কথিত মাদক কারবারির বাড়িতে হাজির দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের একটি দল। ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে তারা শুনতে পান ঘরের ভেতর কয়েকজন মাদক বেচাকেনার গল্প করছেন।
দীর্ঘসময় তাদের গল্প শোনার পর ঘরের দরজা খুলতে বললে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ‘টাপেন্টাডল’ নামের মাদক ঘরের বাইরে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করেন মাদক কারবারিরা। পরে তল্লাশি চালিয়ে ৩৫ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ প্রিন্স মিয়া (২৪) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় পালিয়ে যান আরও কয়েকজন।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে পৌর এলাকার রসুলপুর-উচাপাড়া গ্রামে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির।
আটক প্রিন্স মিয়া ওই গ্রামের মুটুক মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে দিনাজপুরের আদালতে পাঠায়। একই সময় আগের একটি মাদক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় প্রিন্সের মা রেবেকা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় প্রিন্সের মা রেবেকা বেগম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হিলিতে বসবাস করছি। বৃহস্পতিবার দিনের বেলা আমার ছেলের সঙ্গে তার চাচার ঝামেলা হয়। এতে আমার ছেলে আহত হয় এবং তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। আমার বউমা আমাকে খবর দিলে সন্ধ্যায় আমি ছেলেকে দেখতে আসি। রাতে পুলিশ আমার ছেলের সঙ্গে আমাকেও থানায় নিয়ে আসে।’
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির বলেন, গ্রেফতার প্রিন্স এবং তার বাবা-মা সবাই দীর্ঘদিন থেকে মাদক কারবারির সঙ্গে জড়িত। প্রিন্সের বিরুদ্ধে আরও একটি মাদক মামলা আছে। আটকের সময় তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত ছিল। শুনেছি পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার চাচার সঙ্গে মারামারির কারণে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। পরে রাতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরে আজমির ঝিলিক বলেন, পুলিশ রাতে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। তার শরীরে কিছু ক্ষত ছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।