মিরু হাসান বাপ্পি বগুড়া জেলা প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে শয়নকক্ষ থেকে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রীর নাম আসমা খাতুন (১৪)।
শুক্রবার দুপুরের দিকে নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় শনিবার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিহত ওই ছাত্রী উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ভাটরা মধ্যপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে। সে স্থানীয় হলি চাইল্ড স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
পুলিশ জানান, শুক্রবার দিকে আসমা খাতুনকে বাড়িতে রেখে তার মা ধুনট উপজেলার কইগাছি গ্রামস্থ বাবার বাড়িতে যান। দুপুরের দিকে বাবা আবু বক্কর মাঠ থেকে বাড়ি এসে দেখেন শয়নকক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে তাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না। একপর্যায়ে জানালা ভেঙে আসমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তিনি। এসময় তার কান্নার শব্দ শোনে আশপাশের প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসেন এবং থানায় সংবাদ দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পাশাপাশি ময়না তদন্তের জন্য লাশ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেন। এরপর লাশের ময়না তদন্ত শেষে শনিবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিগত আট মাস আগে আসমা খাতুনের সঙ্গে প্রতিবেশি আবির হোসেন নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে সম্প্রতি বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার ঘটনা নিয়ে তাদেও দু’জনের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। এমনকি ঘটনার দিন উভয়ের মধ্যে মোবাইল ফোনে ঝগড়ার ঘটনাও ঘটে। এরই জেরধরে প্রেমিক আবিরের ওপর অভিমান করে শয়নক্ষে তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ওই স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে সূত্রটি জানান। এদিকে ঘটনার পর থেকে কথিত প্রেমিক আবির হোসেন পলাতক রয়েছেন। তাই ঘটনাটি সম্পর্কে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম জানান, স্কুলছাত্রী আসমা খাতুন আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে ওই আত্মহত্যার ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে বলে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানিয়েছেন। তাই ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কারো কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্ররোচনার মামলা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।