বাবলু চন্দ্র শীলকে তাঁর সেলুনের দোকান থেকে অপহরণের ৩৫ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি পরিবারের অভিযোগ।
বাবলু চন্দ্র শীল (৩৪) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের বোয়াইলভীড় গ্রামের গোপাল চন্দ্র শীলের ছেলে।
এই ঘটনায় গত ২৫ নভেম্বর বাবলু চন্দ্র শীলের স্ত্রী স্বপ্না রানী শীল বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ শত্রুতার চেয়ার ধরে পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের ঘরজেয়াটারী এলাকার বাহার তালুকদারের ছেলে বাচ্চু তালুকদার (৩৪), একই এলাকার জব্বার আলীর ছেলে আমিনুর রহমান (৩৩) ও ফুলবাড়ী উপজেলার রাবাইতারী এলাকার মৃত আবু তালেবরে ছেলে সিরাজুল ইসলাম পাঠানের (৩৫) নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩ জনের নামে অপহরণ একটি মামলা দায়ের করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ মামলা হওয়ার পরেও তালিকা ভুক্ত আসামি গ্রেফতার করা হয়নি।
ছবি/
অহরনকৃত বাবুল চন্দ্র শীল।
পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা যায়, গত ১৭ নভেম্বর রাতে স্থানীয় নেওয়াশী বাজারে বাবলু চন্দ্র শীলের সেলুনের দোকান থেকে আসামীরা তাকে মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মোটর সাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর বাচ্চু তালুকদার নামে একজনের ফোন নম্বর থেকে কল করে বাবলুর ভাই কৃষ্ণ চন্দ্র শীলকে জানানো হয়, বাবলুকে ডিবি পুলিশ ধরেছে।
উদ্ধার করতে ৫০ হাজার টাকা লাগবে।
বাবলুর ভাই কৃষ্ণ চন্দ্র শীল ও কাকাতো ভাই বিশ্বনাথ শীল টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামীরা তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
অপহরণ মামলা দায়েরের এক মাস অতিবাহিত হলেও অপহৃত বাবলু চন্দ্র শীলকে এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মামলা রেকর্ডের পর থেকে পুলিশ বাবলু চন্দ্র শীলকে উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের আটক করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে বাবুলের মা বাবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন আমার ছেলেকে ফেরত চাই, আমরা হিন্দু বলে আমাদের ছেলেকে কি ফেরত পাবনা,বাবুলের বাবা এলাকার আশেপাশের সকলের সহযোগিতা চান তার ছেলেকে ফেরত পেতে।
অন্য দিকে বাবুলের ছোট শিশু তার বাবাকে খুঁজছে, ছোট শিশুটি তার বাবাকে পাবেনা,
ঘটনার পর থেকে বাবলু চন্দ্র শীলকে অনেক জায়গায় খোঁজা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তাঁর খোঁজ না পাওয়ায় তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানের কান্না থামানো যাচ্ছে না। যাকেই দেখছেন, তার কাছে স্বামীর সন্ধান চাইছেন স্ত্রী। বৃদ্ধ বাবা-মা ছেলের চিন্তায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় বর্তমানে বাবলু চন্দ্র শীলের পরিবার একপ্রকার আতংকে দিন কাটাচ্ছে।
দ্রুততম সময়ে বাবলু চন্দ্র শীলকে জীবিত উদ্ধার সহ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।।